গণিত সকল বিজ্ঞানের ভাষা: ঢাবি ভিসি
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১৯ PM , আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২২, ০১:১৯ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফলিত গণিত বিভাগ, বাংলাদেশ গণিত সমিতি ও এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘১২তম জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড’-এর চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (০৭ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবনে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দিনব্যাপী এই অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষ্যে উপাচার্যের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক গণিত প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ৩ পদক জয়
ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এম নুরুল আলম, বাংলাদেশ গণিত সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরুল আলম খান।
আরও পড়ুন: গণিত অলিম্পিয়াডে সেরা দশে বেরোবির মজিদুল ও নিপুন
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ গণিত সমিতির নব-নির্বাচিত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল ইসলাম এবং জাতীয় গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. মনিরুল আলম সরকার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাগত জানান। শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ঢাবি উপাচার্য বলেন, গণিত হচ্ছে সকল বিজ্ঞানের ভাষা। শিক্ষার্থীদের গণিত ভীতি দূর করতে জাতীয় স্নাতক গণিত অলিম্পিয়াড কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে উপাচার্য আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক গণিত প্রতিযোগিতায় পদক পেলেন শাবির ২ শিক্ষার্থী
উল্লেখ্য, গণিতের উৎকর্ষতা সাধনের নিমিত্তে বাংলাদেশ গণিত সমিতি ২০০৯ সাল থেকে দেশব্যাপী স্নাতক পর্যায়ে গণিত অলিম্পিয়াড নিয়মিতভাবে আয়োজন করে আসছে, যেখানে অংশগ্রহণকারীগণ গাণিতিক দক্ষতা ও বিশ্লেষণের পারঙ্গমতা প্রদর্শনের সুযোগ পাচ্ছে।
এতে গণিতের ছাত্র ছাড়াও বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছে এবং মেধার স্বাক্ষর রাখছে। এই বাস্তবতায় দেশের সর্বত্র ছাড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা সুপ্ত মেধা-বিকাশের সুযোগ করে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ গণিত সমিতি অলিম্পিয়াডের আয়োজন করে। দেশের ৮টি অঞ্চল থেকে নির্বাচিত মোট ৮০জন প্রতিযোগী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।