‘মেয়ের বড় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন আর পূরণ হলো না’

মিতুর মায়ের আহাজারি
মিতুর মায়ের আহাজারি  © সংগৃহীত

“আমার মেয়ে পড়াশোনা শেষ করে বড় সাংবাদিক হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিল। অন্যায়-অবিচার-অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখার মাধ্যমে সমাজের অসঙ্গতি দূর করার স্বপ্ন নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছিল সে। কিন্তু তার সে স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।”

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সাবরিনা আক্তার মিতুর মা শাহনাজ বেগম নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার রামপুরে বিলাপ করতে করতে এসব কথা বলছিলেন।

গতকাল শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর এলাকার নোয়াখালী-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে ইটবোঝাই একটি ট্রাক মিতুকে চাপা দিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

নিহত সাবরিনা আক্তার মিতুর ছোট বোন সানিজদা আক্তার মীম জানান, তিন বোনের মধ্যে সাবরিনা ছিলেন সবার বড়। দ্বিতীয় মীম এবং সবার ছোট মিথিলা আক্তার সাথী। তারা ঢাকার কেরানীগঞ্জে একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। ৭ ডিসেম্বর মিতু তার পরিবারের সঙ্গে নানার বাড়ি সোনাইমুড়ী পৌরসভার রামপুর মহল্লায় বেড়াতে যান। কিন্তু পরীক্ষা থাকার কারণে মিতু শনিবার দুপুরের খাবার খেয়ে ঢাকার উদ্দেশে বের হন। এর পর সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন মিতু। প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে তিনি প্রথম শ্রেণি পেয়ে উত্তীর্ণ হন। ২০ ডিসেম্বর থেকে মিতুর তৃতীয় বর্ষের পরীক্ষা ছিল।

মীম বলেন, আমার বড় বোন মিতুর স্বপ্ন ছিল বড় সাংবাদিক হবেন। কিন্তু একটি সড়ক দুর্ঘটনা আমার বোনের সে স্বপ্ন চুরমার করে দিল।

মিতুর মামা আবিদুর রহমান বলেন, মিতুকে নিয়ে তার বাবার অনেক বড় স্বপ্ন ছিল। কিন্তু তার সে সুন্দর স্বপ্ন একটি সড়ক দুর্ঘটনায় চুরমার হয়ে গেল।

এদিকে মিতুর মৃত্যুর সংবাদে তার গ্রামের বাড়ি ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। মিতুকে জানাজা শেষে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বজরা ইউনিয়নের শীলমুদ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ