ঢাবির হলে বিবাহিত ছাত্রীর আসন বাতিল বৈষম্যমূলক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিবাহিত ছাত্রীদের আবাসিক হলে সিট বাতিলের বিধানটি বৈষম্যমূলক বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। তারা বলছেন, এ আইনের ফলে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে বিবাহিত ছাত্রী তার সাংবিধানিক ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে নারীর অধিকার নিয়ে কাজ করা আইনজীবীরা বলেন, সংবিধানের ২৬নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মৌলিক অধিকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ কোনো আইন করা যাবে না। আর যদি করা হয়, তবে তা স্বতঃসিদ্ধভাবে বাতিল হয়ে যাবে। মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি আগের সব আইন সাংবিধানিকভাবে অবৈধ।

আরও পড়ুন: বিবাহিত ছাত্রীদের হলে থাকতে না দেয়ার বিধান বাতিলের দাবি

এ প্রসঙ্গে অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, একজন শিক্ষার্থীর বিয়ে হলে আবাসিক হলে তার সিট বাতিল করা হবে এমন সিদ্ধান্ত সভ্য সমাজের নয়। এটি আমাদের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।

আমরাই পারি উই ক্যান) এর আইনজীবী সুরাইয়া পারভীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের ফলে একজন ছাত্রীর মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। একজন ছাত্রী বিবাহিত কিংবা গর্ভবতী হলে তিনিও শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থী যদি হলে সিট পেতে পারে তাহলে একজন গর্ভবতী ছাত্রীকেও হলে সিট দিতে হবে।

আরও পড়ুন: এবার ঢাবির হলে বিবাহিত এক ছাত্রীর সিট বাতিলের অভিযোগ

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আতাউল্লাহ নুরুল কবীর বলেন, দেশে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ বছর। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া প্রায় সকল ছাত্রীর বয়স ১৮ বছর। আর শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় তিনি বিয়ে করতে পারবেন না এমন আইন নেই। যদি শিক্ষার্থী থাকা অবস্থায় কেউ বিয়ে করতে পারে তাহলে তাকে অবশ্যই আবাসিক হলে সিট দিতে হবে।

আরও পড়ুন: নিম্নমানের খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পাঁচটি হলে আসন বণ্টনসম্পর্কিত নীতিমালার একটি ধারায় বলা আছে, ‘কোনো ছাত্রী বিবাহিত হলে অবিলম্বে কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। অন্যথায় নিয়ম ভঙ্গের কারণে তার সিট বাতিল হবে। শুধু বিশেষ ক্ষেত্রে বিবাহিত ছাত্রীকে চলতি সেশনে হলে থেকে অধ্যয়নের সুযোগ দেওয়া হবে। অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রী হলে থাকতে পারবেন না।’


সর্বশেষ সংবাদ