‘মিলেনিয়াম ফেলোশিপ’র জন্য নির্বাচিত হলেন চবির ১১ শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০২:২৯ PM , আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২১, ০২:২৯ PM
জাতিসংঘের একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক (এমসিএন) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত শিক্ষা কার্যক্রম ‘মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২১’ এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হয়েছে।
এ ফেলোশিপটি অর্জন করার মাধ্যমে বাংলাদেশও প্রথমবার মিলেনিয়াম ফেলোশিপের যাত্রা শুরু করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষার্থীর কাজের সামাজিক প্রভাব এবং সমাজের কল্যাণের প্রতি প্রতিশ্রুতি এবং উৎসাহ তাদেরকে ২০২১ সালের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ক্লাসের জন্য নির্বাচিত করেছে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মিলেনিয়াম ফেলো হিসেবে ৫টি সামাজিকভাবে মর্যাদাপূর্ণ প্রভাবক্ষম প্রোগ্রামে চট্টগ্রাম ও বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে।
‘মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২১’ এ নির্বাচিত শিক্ষার্থীবৃন্দ ২৫ অক্টোবর ২০২১ বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এর সাথে তার অফিস কক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
মাননীয় উপাচার্য ফেলোশিপ অর্জনকারী শিক্ষার্থীবৃন্দকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এ মেধাবী শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে। শিক্ষার্থীরা তাদের এ অর্জনের মধ্যে দিয়ে সমাজের কল্যাণের জন্য অধিকতর উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করবে মর্মে মাননীয় উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফেলোশিপ অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- ইসরাত জাহান মুন্নী, মরিয়ম জাহান সায়মা, ইসরাত জাহান লীনা, মাহমুদুল হাসান, উম্মে সায়েদা, ইয়াছিন আরফাত, মো: নাফসিন মাবুদ ইফতি, তনয়া নাথ, আবদুল্লাহ আল হাসান, খাদিজা রাশনি এবং তাসনিম রহমান নাফিস।
উল্লেখ্য, মিলেনিয়াম ফেলোশিপ একটি দীর্ঘ নেতৃত্বমূলক প্রোগ্রাম যা সারা বিশ্ব থেকে নেতৃত্বের গুণাবলী সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে। এ একাডেমিক প্রোগ্রামটির লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ, পেশাগত যোগ্যতা এবং ক্যারিয়ারের পথ বিকাশে সহায়তা করা যেটি সামাজিক প্রভাবক্ষম কাজে সাফল্যের জন্য প্রয়োজনীয়। ২০২১ সালে ১২০ টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজারের অধিক মিলেনিয়াম ফেলোদের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বেঁছে নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলেনিয়াম ফেলোরা বিশ্বব্যাপি ১৫৩ টি দেশের ২২০০ টি ক্যাম্পাস থেকে ২৫ হাজারের বেশি স্নাতক পর্যায়ের ছাত্রনেতাদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্য দিয়ে এ সুযোগটি অর্জন করেছে।