চবির তিন শিক্ষার্থীকে শোকজের ঘটনায় গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের প্রতিবাদ
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৫৭ PM , আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৫৭ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের দুই নেতা রাজেশ্বর দাশগুপ্ত ও শাহ মোহাম্মদ শিহাব এবং পদার্থ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী আশরাফি নিতুকে শোকজ প্রদানের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল।
সংগঠনটির সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল বিশ্বাস এক যোথ বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অভিযোগ তুলেছে ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবিতে পদযাত্রা ও মানববন্ধনে অংশ নেয়ার জন্য এক ছাত্রকে 'প্ররোচিত করে আসতে বাধ্য করা হয়েছে'।
তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা চলাকালীন পরিবহন ব্যবস্থা চালু করার দাবি চবি শিক্ষার্থীদের একটি প্রাণের দাবি। তাছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কোন দাবিতে মিছিল ও মানববন্ধন সংগঠিত করা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়। তাই কোন ছাত্রকে প্ররোচিত করার প্রশ্নই এখানে অবান্তর। বাস্তবে আন্দোলনকারী ছাত্র নেতাদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অভিযোগ আনয়নকারীকে দিয়ে এই মিথ্যা অভিযোগপত্র দিতে বাধ্য করেছে প্রশাসন।
গত ২ সেপ্টেম্বর সকালে পরীক্ষা চলাকালীন যাতায়াতের জন্য পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবিতে পদযাত্রা করে ১১ শিক্ষার্থী। পরে অবিলম্বে শাটল ট্রেন কিংবা বাস সার্ভিস চালুর দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর রবিউল হাসান ভূঁইয়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সকালে ৭ জন শিক্ষার্থী পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবিতে প্রক্টর অফিসে একটি স্মারকলিপি প্রধান করেন। কিন্তু স্মারকলিপিতে ১১ জনের স্বাক্ষর থাকলেও উপস্থিত ছিলেন ৭ জন। এরমধ্যে চারজনের স্বাক্ষরকৃত হাতের লেখা একই ছিল। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়।’
‘এরইমধ্যে একইদিন বিকেলে ওই স্মারকলিপিতে স্বাক্ষরিত এক ছাত্র অভিযোগ দেয়— তাকে তিনজনের নাম উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর ও পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে বাধ্য করেছে। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত ওই তিন শিক্ষার্থীকে আজ (মঙ্গলবার, ৭ সেপ্টেম্বর) কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়।’
অভিযোগকারী ছাত্র পালি বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মিটন চাকমা।