সশরীরে ও অনলাইনে পাঠদানের প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ ইউজিসির
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৪:২৬ PM , আপডেট: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০৫:১৫ PM
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সশরীরে ও অনলাইনে সমন্বিত করে ব্লেন্ডেড লার্নিং বাস্তবায়নে প্রস্তুতি গ্রহণ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নের পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বুধবার (২৫ আগস্ট) উচ্চশিক্ষায় যুগোপযোগী শিখন-শিক্ষণ পদ্ধতির নীতিমালা প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির এক আলোচনা সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ইউজিস’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যেন পিছিয়ে না পড়ে সে বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে খসড়া নীতিমালায় অনলাইন ও অনসাইট এডুকেশন পদ্ধতিকে একত্রিত করার লক্ষ্যে ব্লেন্ডেড লার্নিং চালু করা হচ্ছে। ‘ব্লেন্ডেড লার্নিং ফর বাংলাদেশ’ শিরোনামে চূড়ান্ত খসড়া নীতিমালাটি সরকারের অনুমোদনের জন্য শীঘ্রই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে।
এ সময় কমিশনের স্ট্রাটেজিক প্লানিং এন্ড কোয়ালিটি এসিউরেন্স বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দের সভাপতিত্বে যুক্ত ছিলেন, কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর, বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের সদস্য প্রফেসর ড. সঞ্জয় কুমার অধিকারী প্রমুখ।
প্রস্তাবিত খসড়ায় বলা হয়েছে, ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালায় সশরীর ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালানো যাবে। কোন শিক্ষার্থী সশরীর পাঠদানের সুযোগ বঞ্চিত হলে রেকর্ডেড ক্লাস থেকে লেখাপড়ার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে। কার্যকর প্রতিকারমূলক শিক্ষার ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত মাল্টিমিডিয়া কনটেন্টের সুযোগ থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, এই নীতিমালা চূড়ান্ত হলে ক্লাসরুম শিক্ষা অধিক অংশগ্রহণমূলক হবে। শিক্ষার্থীরা কার্যকরভাবে শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। এটি শিখন-শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। শ্রেণিকক্ষে বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স ব্যবহারের ফলে শিক্ষার্থীরা পাঠদানে আনন্দ পাবে। অংশগ্রহণমূলক শিক্ষণ পক্রিয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে। ব্লেন্ডেড লার্নিং পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করবে এবং প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে তাদেরকে চাকরি উপযোগী করে গড়ে তুলবে।
তিনি আরও বলেন, মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ব্লেন্ডেড লার্নিং নীতিমালা প্রণয়ন দেশের জন্য এটি মাইলফলক। এটি উচ্চশিক্ষার জন্যও একটি বড় অর্জন। ব্লেন্ডেড লার্নিং চালু থাকলে ভবিষ্যতে যে কোন বিপর্যয়ে শিক্ষাব্যবস্থা চলমান রাখা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।