একই বর্ষে দুই বছর, আন্দোলনে চবির আইইআর শিক্ষার্থীরা
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:১৩ PM , আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২১, ০৪:১৩ PM
পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০১৮-১৯ সেশনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৩ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও পরে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে পরীক্ষা গ্রহণ ও জট নিরসনের আশ্বাসে প্রক্টরের মাধ্যমে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিভিন্ন কারণে আমাদের ২০১৯ সালের পরীক্ষা পিছিয়ে গত বছরের ২৫ মার্চ পরীক্ষার দিন ধার্য করে রুটিন প্রদান করা হয়। কিন্তু ১৭ মার্চ থেকেই করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে গেলে পরীক্ষা স্থগিত হয়ে যায়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা গত ১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, গত নভেম্বরে আমরা ইনস্টিটিউটের সাথে পরীক্ষার ব্যাপারে যোগাযোগ করলে ইনস্টিটিউট আমাদের জানায় ২০১৮-১৯ সেশনের পরীক্ষার ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। অথচ সংস্কৃত বিভাগ গত ২২ ডিসেম্বর ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যেহেতু আমাদের পরীক্ষার রুটিন, প্রশ্নসহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন আছে, সেহেতু এখন পরীক্ষা না নেওয়াকে আমরা ইনস্টিটিউটের অবহেলা হিসাবেই দেখি। ইতোমধ্যে প্রথম বর্ষে আমরা ২৪ মাস পার করেছি।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা তাদের চারদফা দাবি পেশ করেন। সেগুলো হলো-
১. জানুয়ারীর ১০ তারিখের মধ্যে পরীক্ষার রুটিন দিতে হবে।
২. পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর পর প্রয়োজনে অনলাইনে দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস শুরু করতে হবে।
৩.পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষার রেজাল্ট দিতে হবে।
৪. ইনস্টিটিউটের সেশনজট নিরসনে শিক্ষক নিয়োগ, ক্লাসরুম বৃদ্ধিসহ যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ও আমাদের ইনস্টিটিউট বলছে তাদের পরীক্ষা নিতে সমস্যা নাই। প্রশাসন আমাদের থেকে দুই দিন সময় নিয়েছে।প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা দুই দিনের জন্য অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেছি।
এ ব্যাপারে প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, তাদের সাথে কথা হয়েছে। আমরা ব্যাপারটা নিরসনের জন্য আন্তরিক চেষ্টা করছি।
আইইআর’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ বলেন, আমরা পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি পেলে আমরা পরীক্ষা নিতে পারবো।