বিয়ে করে বহিষ্কার হলেন রাবি চিরকুমার সংঘের নেতা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২০, ০৮:৪১ PM , আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২০, ১২:৫৩ PM
সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) চিরকুমার সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনারুল ইসলাম মিনারকে বহিষ্কার করেছে সংগঠনটি। সম্প্রতি সংগঠনটির সভাপতি আহমেদ রাফি এবং সাধারণ সম্পাদক আশিক মাহমুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, রাবি চিরকুমার সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মিনারুল ইসলাম মিনারকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ৭-(ক) ধারা মোতাবেক রাবি চিরকুমার সংঘ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল। সে চিরকুমার সংঘের পদ ধারণ করেও কেন বিবাহ করল তা অতি শিগগিরই লিখিতভাবে দেয়ার অনুরোধ করছি।
চিরকুমার সংঘের সভাপতি আহমেদ রাফি বলেন, চিরকুমার সংগঠনের সদস্যরা তাদের বৈশিষ্ট রক্ষায় সর্বদা তৎপর। কিন্তু সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে মিনার এমন কাজ করবে এটা হতাশাজনক। সে কীভাবে সংগঠনের মূলমন্ত্র ‘ডজন ডজন প্রেম করি, চিরকুমার হয়ে জীবন গড়ি’-এর থেকে দূরে সরে গেল; এটা দুঃখজনক। সংগঠনের নিয়ম ভঙ্গ করার অভিযোগে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে মিনারের বিয়ের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। হাসিব নামে একজন ব্যবহারকারী সংঘের নাম পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, সংঘটির নাম চিরকুমার না রেখে ‘সাময়িক কুমার সংঘ’ করা হোক। ফলে সংগঠনের অবমাননা হবে না এবং কেউ বহিস্কারও হবে না। সেভাবে নীতিমালাও করা হোক।
ফয়সাল আহমেদ সজিব নামে একজনে লিখেছেন, এভাবেই দিনের পর দিন ও যুগের পর যুগ চিরকুমারগুলো নারীর সংস্পর্শে এসে তাদের কুমারত্ব বিসর্জন দিয়ে নষ্ট হয়ে যাবে। মো. নাজিম উদ্দিন নামে একজন মজা করে লিখেছেন, দুনিয়াতে এটাই বোধহয় একমাত্র সংগঠন, যেখানে সবাই বহিষ্কার হবে জেনেও প্রবেশ করে। কিংবা, বহিষ্কার হওয়ার আশায় প্রবেশ করে।
‘ডজন ডজন প্রেম করি, চিরকুমার হয়ে জীবন গড়ি’ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে ২০১২ সালে গড়ে উঠে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিরকুমার সংঘ। এছাড়া বর্তমানে এ পূঁজিবাদী প্রেমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিভিন্ন নামে সংগঠন গড়ে উঠেছে। এসব সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মূলত ১৪ ফেব্রুয়ারি কিংবা প্রেম-ভালোবাস সম্পর্কিত বিষয়গুলো সামনে আসলে আলোচনায় দেখা যায়।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রেম বঞ্চিত সংঘ’। প্রেম বঞ্চিত সংঘের ব্যানারে লেখা ছিল, ‘কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না, তা হবে না’। আন্দোলনকারীরা জানান, আমরা প্রেমের বিরোধী নই। তবে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রেমের নামে যে ভণ্ডামি চলে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা প্রেমের সুষম বণ্টন চাই। এক জন চার-পাঁচটা প্রেম করে, আমরা সেটার প্রতিবাদ জানাই।