ধর্ষণের বিচার দাবিতে রাবি শিক্ষক, শিক্ষার্থীর খালি পায়ে পদযাত্রা

খালি পায়ে পদযাত্রা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী
খালি পায়ে পদযাত্রা করেছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী

নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনাসহ সারা দেশে অব্যাহত নারী ও শিশু ধর্ষণ এবং নির্যাতনের প্রতিবাদে খালি পায়ে পদযাত্রা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দুই শিক্ষক ও কয়েকজন শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা চত্বর থেকে নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার খালি পায়ে হেঁটে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।

শিক্ষকদের মধ্যে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ খান ও আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতেখারুল আলম মাসউদ ছিলেন। শিক্ষকদের সাথে আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এ পদযাত্রায় অংশ নেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে আজ বেলা ১১ টায় এই পদযাত্রা শুরু করবেন বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান। পদযাত্রাটি রাজশাহী নগরীর জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বেশ কয়েক মিনিট অবস্থান করেন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

খালি পায়ে পদযাত্রার বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন খান বলেন, দেশব্যাপী নারীদের উপর চলমান নৈরাজ্য, সহিংসতা, ধর্ষনের প্রতিবাদে আমরা আজ পথে দাঁড়িয়েছি। নারীদের প্রতি সম্মান জানাতেই আমরা খালি পায়ে পদযাত্রা করছি। আমরা একটি ধর্ষণমুক্ত সমাজ চাই।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সমাজে ধর্ষণ একটি ব্যধি হয়ে দাড়িয়েছে। আমাদের এখনই সময় নিজ নিজ জায়গা থেকে স্বোচ্চার হওয়ার। আজ নোয়াখালীতে নারী নির্যাতন হয়েছে কাল যে আমাদের মা-বোন হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। রাষ্ট্র আইন করে তবে তার প্রয়োগ যথাযথ করতে পারে না। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। মূলত একটা ভালো সমাজের জন্য এবং সমাজের যাবতীয় অসঙ্গতিগুলোর বিরুদ্ধেই আমাদের এই পদযাত্রা।

আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মসাউদ বলেন, দেশব্যাপী নারীর প্রতি যে ধরণের ভয়াবহ নিপীড়ন ও সহিংস আচরণের প্রকাশ ঘটছে তার প্রতিরোধে যার যার অবস্থান থেকে একযোগে প্রতিবাদ করতে হবে। এটা মানবতাবিরোধী অপরাধ।

তিনি আরো বলেন, পরিবার থেকে শুরু করে প্রতিটা প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা কে এর বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে। রাষ্ট্র কে এর বিরুদ্ধে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। সর্বস্তরে নৈতিকতার চর্চা ও শিক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ