ক্লাস শুরুর দাবিতে অনশনে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫৫ PM , আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:০১ PM
ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত শেষ করে ক্লাস শুরুর দাবিতে অনশনে বসেছেন প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল থেকে ঢাকা কলেজের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করে দ্রুত ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা করতে হবে, অন্যথায় তারা অনশন চালিয়ে যাবেন।
প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনির্ভাসিটির ২০২৪-২৫ সেশনের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাওলাদার বলেন, ‘৩০ অক্টোবরের মধ্যে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে আমাদের ওরিয়েন্টেশনের কথা ছিল। কিন্ত সেই তারিখ পরিবর্তন করে ১৫ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভর্তি ও ক্লাস শুরুর নতুন তারিখ দিয়েছে। যেখানে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ সেশনের ক্লাস পরীক্ষা চলছে। এর সঙ্গ ২০২৫-২৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা তারিখ ঘোষণা করেছে। আর এখানে আমরা ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেনি। আমরা এক অনিশ্চয়তা মধ্যে পড়ে আছি। আমরা তো এমনিতেই সেশন জটে পড়ে আছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অন্তবর্তী প্রশাসককে আমাদের ক্লাস পরীক্ষা শুরুর কথা জানিয়েছি, কিন্তু আমরা কোনো আশানুরূপ উত্তর বা আশ্বাস কিছুই পাইনি। এ জন্য আমরা ক্লাস শুরু করার দাবিতে অনশনে বসেছি। আমাদের ভর্তি কার্যক্রম ও ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা যতক্ষণ পর্যন্ত হবে না, আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু ১৩ ডিসেম্বর
অনশনরত ২০২৪-২৫ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী নাজমুল হোসেন বলেন, ‘আমাদের প্রায় তিন মাস আগে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাবজেক্ট চয়েজ ও অনলাইন পেমেন্ট সম্পন্ন করার পরও এখনো ক্লাস শুরু হয়নি, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়। আমরা চাই ৩০ অক্টোবরের মধ্যেই কাগজপত্র জমা নিয়ে ক্লাস শুরু করা হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এদিকে ২০২৫-২৬ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা করেছে, অথচ আমরা এখনো ক্লাসে ফিরতে পারিনি। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে নতুন ভর্তি আবেদনও শুরু হয়েছে। ফলে আমরা এক প্রকার অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি।’
মানসিক চাপ ও পরিচয় সংকটের কথাও তুলে ধরে নাজমুল বলেন, ‘এই দেরির কারণে আমরা পড়াশোনায় পিছিয়ে যাচ্ছি, আবার মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত। এখন এমন অবস্থায় আছি, যেখানে পরিচয় দিতেও সংকোচবোধ হচ্ছে। আমাদের একটাই দাবি, খুব দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে ক্লাস শুরু করা হোক।’
এ বিষয়ে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়টির অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, ‘আগামীকাল, অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর থেকে ক্লাস শুরু এবং ভর্তি কার্যক্রম সম্ভব নয়। এ বিষয় নিয়ে মন্ত্রণালয়ে আজকে একটি মিটিং হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু উপদেষ্টা স্যার না থাকায় সেটি হয়নি। উনি এলে আমরা নিশ্চয়ই বিষয়গুলো তুলে ধরব।’