ফার্মাসিস্ট দিবসে শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা

রাবির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিবসটি উপলক্ষে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।
রাবির ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিবসটি উপলক্ষে প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।   © টিডিসি সম্পাদিত

২৫ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস উদযাপিত হয়, যা ফার্মেসি পেশার গুরুত্ব ও এই পেশার কর্মীদের উৎসাহ প্রদানের দিন হিসেবে স্বীকৃত। এ বছরের স্লোগান, ‘Think Health, Think Pharmacist’। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই দিবস ২০১০ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থীরা দিবসটি উপলক্ষে তাদের প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে শতকরা নব্বই শতাংশের বেশি ফার্মাসিস্ট ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত থাকলেও হাসপাতাল, কমিউনিটি ও গবেষণা ক্ষেত্রের সুযোগ সীমিত। এর ফলে ফার্মাসিস্টরা তাদের পেশাগত সম্পূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারছেন না।

ফার্মেসি বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সজিব ঘোষ বলেন, ‌‌‘সঠিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণের প্রধান হাতিয়ার হলো ডাক্তার, নার্স এবং ফার্মাসিস্ট। আমাদের দেশে ফার্মাসিস্টরা সরাসরি স্বাস্থ্যসেবায় যুক্ত নন। তাই দ্রুত ফার্মাসিস্টদের হাসপাতাল ও কমিউনিটি স্বাস্থ্যসেবায় নিযুক্ত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি কারিকুলামকে আরও স্বাস্থ্যসেবাভিত্তিক করা উচিত।' তিনি আরও বলেন, ‌‌ফার্মাসিস্টদের জন্য পর্যাপ্ত পদ সৃষ্টি, গবেষণা ও নতুন ওষুধ উন্নয়নেও সরকারি অর্থায়ন ও সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অন্তত একজন ফার্মাসিস্ট নিয়োগ বাধ্যতামূলক করা হোক।'

ফার্মেসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তাসলিমা তাবাছুম বলেন, ‌‘ফার্মাসিস্টরা শুধু ওষুধের কারিগর নন, তারা রোগীর আস্থা ও স্বস্তির সঙ্গী। আমরা চাই, ফার্মাসিস্টরা সমাজে স্বাস্থ্যসচেতনতার দূত হয়ে উঠুন এবং হাসপাতালভিত্তিক কাজ, আধুনিক গবেষণা ও প্রশিক্ষণে তাদের সুযোগ বৃদ্ধি হোক।’

আরও পড়ুন: গকসু নির্বাচনের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল, ১৬ পদে জয়ী হলেন যারা

মোনতাসিরুল ইসলাম জিহান, দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী, বলেন, “দেশে হসপিটাল ফার্মেসি চালু হলে আমরা ডাক্তার ও নার্সদের সঙ্গে সরাসরি রোগীর সেবায় কাজ করতে পারব। প্রতিটি বড় হাসপাতালে আলাদা ইউনিট থাকুক, যাতে প্রেসক্রিপশন যাচাই, সঠিক ডোজ নিশ্চিতকরণ ও রোগী কাউন্সেলিং করা সম্ভব হয়।’

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাইজা হামিদ বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতে ফার্মাসিস্টরা চিকিৎসা দলের অপরিহার্য অংশ। আমাদের দেশে ওষুধ কোম্পানির বাইরে হাসপাতাল ও গবেষণার সুযোগ বৃদ্ধি, নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত এবং ওষুধের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ফার্মাসিস্টদের পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতি ও পেশাগত স্বাধীনতা জরুরি।’

বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ফার্মাসিস্ট দিবস শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন অনুপ্রেরণা যোগায়। আমাদের আশা, সরকার ও নীতিনির্ধারকরা দ্রুত পদক্ষেপ নেবেন, যাতে ফার্মাসিস্টরা দেশের স্বাস্থ্যখাতে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।’


সর্বশেষ সংবাদ