চাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৯৩১, তফসিল পরিবর্তন 

চাকসু ভবন
চাকসু ভবন  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ২৭ হাজার ৬৩৪ ভোটারের বিপরীতে ৯৩১ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৪২৯ জন এবং হল সংসদে ৫০২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করে চাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক একেএম আরিফুল হক সিদ্দিকী। 

নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টি হলেন মধ্যে ছেলেদের ১০টি ও মেয়েদের ৫টি হল রয়েছে। ছেলেদের হল থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে ৩৫৬ জন এবং মেয়েদের হল থেকে ১২৫ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এছাড়া শিল্পী রশিদ চৌধুরী হোস্টেলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ফরম জমা দিয়েছেন ২১ জন। তবে নির্বাচনে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় ও হল সংসদ মিলিয়ে ১ হাজার ১৬২ জন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন, কিন্তু ২৩১ জন জমা দেননি। 

ছেলেদের হলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী হলে৷ হলটির ১৬ পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ফরম জমা দিয়েছেন ৫৩ জন। অন্যদিকে সবচেয়ে কম প্রার্থী শহীদ আব্দুর রব হলে। হলটি থেকে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩১ জনের। 

এছাড়া মেয়েদের হলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রার্থী বেগম খালেদা জিয়া হলে৷ হলটি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য ফরম জমা দিয়েছেন ৩১ জন। সবচেয়ে কম ১৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বী নবাব ফয়জুন্নেছা হলে।

তফসিলের আংশিক পরিবর্তন
এদিকে তফসিলের আংশিক পরিবর্তন করেছে নির্বাচন কমিশন। পূর্বের তফসিল অনুযায়ী যাচাই-বাছাই হওয়ার কথা ছিল ১৮ সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল ২১ সেপ্টেম্বর। কিন্তু নতুন তফসিলে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ ২২ সেপ্টেম্বর। তবে পূর্বঘোষিত অন্য তারিখ অপরিবর্তিত থাকছে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ২৩ সেপ্টেম্বর। প্রার্থীদের বিষয়ে আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির শেষ তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর এবং প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ২৫ সেপ্টেম্বর।

চাকসু ও হল সংসদ আচরণবিধি অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমার সময় কোনও মিছিল-শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচ জনের বেশি সমর্থক নেওয়া যাবে না।

মনোনয়ন ফরম ও ডোপ টেস্ট থেকে আয়
চাকসু, হল ও হোস্টেল সংসদ মিলিয়ে এবারের নির্বাচনে মোট ১ হাজার ১৬২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ৫২৮ জন এবং হল সংসদে ৬৩৪ জন।

প্রার্থীদের কাছ থেকে কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৩০০ টাকা এবং হল সংসদের জন্য ২০০ টাকা হারে ফি নেওয়া হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় সংসদ থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪০০ টাকা এবং হল সংসদ থেকে ১ লাখ ২৬ হাজার ৮০০ টাকা মিলিয়ে সর্বমোট আয় হয়েছে ২ লাখ ৮৫ হাজার ২০০ টাকা।

এ ছাড়া প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ডোপ টেস্টের জন্য প্রতিজনকে ৩৫০ টাকা পরিশোধ করতে হবে। ১ হাজার ১৬২ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম নিলেও জমা দিয়েছেন ৯৩১ জন। তাই ডোপ টেস্ট থেকে আয় হবে ৩ লাখ ২৫ হাজার ৮৫০ টাকা। সব মিলিয়ে মনোনয়ন ফি ও ডোপ টেস্ট থেকে প্রশাসনের আয় দাঁড়াচ্ছে প্রায় ৬ লাখ ১১ হাজার ৫০ টাকা।


সর্বশেষ সংবাদ