ডাকসুতে ভিপি পদে ভোট দেননি সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষার্থী, অন্য পদগুলোয় কত জন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:২৭ PM , আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) ভিপি, জিএস ও এজিএসসহ পদ রয়েছে ২৮টি। এসব পদে বিজয়ীদের প্রাপ্ত ভোটের হিসাব প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে অনুযায়ী, সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন ভিপি পদের প্রার্থীরা। সম্পাদকীয় পদগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ভোট দেননি।
আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সহসভাপতি (ভিপি) পদে ভোট দিয়েছেন সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীরা। এ পদে ৪৫ জন প্রার্থীর জন্য ২৯ হজার ২৫৯টি ভোট পড়েছে। এবার মোট ভোটার ছিল ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। সে হিসেবে এ পদে উপস্থিত ও অনুপস্থিত শিক্ষার্থী মিলিয়ে ১০ হাজার ৬১৫ জন ভোট দেননি। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন ২৮ হাজার ৬৭৭ জন। ভোট দেননি ১১ হাজার ১৯৭ জন।
সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জরে জন্য ভোট পড়েছে ২৮ হাজার ২৯২টি, ভোট দেননি ১১ হাজার ৫৮২ জন। মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক ১৭ প্রার্থীর জন্য ২৫ হাজার ৪৫৫ জন শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। সে হিসাবে, এ পদে উপস্থিত ও অনুপস্থিত শিক্ষার্থী মিলিয়ে ভোট দেননি ১৪ হাজার ৪১৯ শিক্ষার্থী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জনের জন্য ভোট পড়েছে সবচেয়ে কম ২৫ হাজার ৯টি। ভোট দেননি সর্বোচ্চ ১৪ হাজার ৮৬৫ জন।
২৬ হাজার ১২ জন ভোটার কমন রুম, ১১ প্রার্থীর রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ভোট দিয়েছেন। সে হিসাবে ১৩ হাজার ৮৬২ জন ভোট দেননি। আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জনকে ২৫ হাজার ৩৮৭টি ভোট পড়েছে, ভোট পড়েনি ১৪ হাজার ৫৮৭টি। সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন ২৫ হাজার ৪৮২ জন ভোটার। ভোট পড়েনি ১৪ হাজার ৩৯২টি।
আরও পড়ুন: দীর্ঘ ৪৫ ঘণ্টা পর শেষ হলো জাকসুর ভোট গণনা
গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জনকে ২৫ হাজার ৭৪১টি ভোট পড়েছে। ভোট দেনটি ১৪ হাজার ১৩৩ জন। ২৬ হাজার ৪৫৯ জন ভোটার ১৩ ক্রীড়া সম্পাদক পদের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন। ১৩ হাজার ৪১৫ জন ভোট দেননি। ২৬ হাজার ২৩৫ জন ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জনকে ভোট দিয়েছেন, দেননি ১৩ হাজার ৬৩৯ জন। সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জনকে ভোট দেন ২৫ হাজার ৯০৭ জন। ১৩ হাজার ৯৬৭ জন ভোট দেননি।
ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জনকে ২৫ হাজার ৭৪২ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট দেননি ১৪ হাজার ১৩২ জন। ২৫ হাজার ২৮৩ জন ভোট দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদের ১৫ প্রার্থীকে। ভোট দেননি ১৪ হাজার ৫৯১ জন। আর মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জনকে ২৫ হাজার ৪৮ জন ভোট দিয়েছেন। এ পদে ভোট দেননি ১৪ হাজার ৮২৬ জন। এসব সম্পাদকীয় পদের বাইরে কার্যনির্বাহী সদস্যের ১৩টি পদ রয়েছে। এ পদগুলোয় প্রার্থী ছিলেন ২১৭ জন।