ধর্ষণের হুমকি দেয়া শিক্ষার্থীকে প্রক্টরের ক্ষমতায় ৬ মাস বহিষ্কার, তদন্তে বাড়বে শাস্তি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:২০ PM , আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:১১ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বামজোট মনোনীত মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বি এম ফাহমিদা আলমকে গণধর্ষণের হুমকি দেওয়া আলী হুসেন নামের সেই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাবি।
এ শিক্ষার্থীকে দেওয়া শাস্তি ছিলো প্রদত্ত প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি। একই সঙ্গে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার শাস্তি আরও বাড়বে।
দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তার অভিযোগটি ঢাবির যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে। তারা তদন্ত করে যেটা তাদের বিবেচনায় মনে সে অনুযায়ী শাস্তি প্রযোজ্য হবে।
তিনি আরও বলেন, তাকে যে ৬ মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে এটা প্রক্টরের সর্বোচ্চ ক্ষমতা। প্রক্টর এর চেয়ে বেশি শাস্তি দিতে পারেন না। এ ৬ মাসই তার শেষ শাস্তি না। তদন্ত কমিটি যদি মনে করে তাকে আরও শাস্তি দেওয়া হবে।
এর আগের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২০২১ সেশনের শিক্ষার্থী আলী হুসেনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ বিষয়ে গঠিত প্রক্টরিয়াল সত্যানুসন্ধান কমিটির সুপারিশের আলোকে তাকে বহিষ্কারের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডারে প্রদত্ত প্রক্টরের এখতিয়ারভুক্ত সর্বোচ্চ শাস্তি। তার শ্রেণি রোল ৫৪ এবং রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০২০২১২৭৬৮। সে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী। একই সঙ্গে আলী হুসেনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিষয়ক কমিটিতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার আলী হোসেন ফেসবুকে করা এক পোস্টে রিটকারীর ছবি সংযুক্ত করে লিখেছেন, ‘হাইকোর্টের বিপক্ষে এখন আন্দোলন না করে আগে একে (রিটকারী) দলবদ্ধ ধর্ষণের পদযাত্রা করা উচিত! কেউ এইসব শব্দচয়ন দেখে সুশীল হইয়েন না যে একে সাপোর্ট করবে ওপরের কথাটা তার জন্য প্রযোজ্য!’
ওই শিক্ষার্থীর এমন শব্দচয়ন করে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দেওয়া পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। পরে আলোচনা-সমালোচনার মুখে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন তিনি।