নবীন শিক্ষার্থী ও নির্যাতিত ছাত্রনেতাদের নিয়ে রাকসু নির্বাচনের দাবি রাবি অধ্যাপকের
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২৫, ১১:২০ PM , আপডেট: ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১২:৩৬ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও ক্যাম্পাসের নির্যাতিত ছাত্রনেতাদের নিয়ে রাকসু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ফরিদুল ইসলাম।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে সাংবাদিকদের কাছে এসংক্রান্ত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান জ্যেষ্ঠ এ অধ্যাপক।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠেয় রাকসু নির্বাচন কোনো সাধারণ নির্বাচন নয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ হাজার ছাত্র-ছাত্রীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এই রাকসু। এছাড়া ডাকসুর ন্যায় সমগ্র দেশবাসী রাকসু নিয়েও যথেষ্ট আগ্রহী। ফলে রাকসু নির্বাচন সকল দিক দিয়ে সবার কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।
ফ্যাসিবাদের ভ্যানগার্ড হিসাবে পরিচিত ছাত্রলীগ এবং তাদের সহযোগী কোনো সংগঠন ছাড়া অন্যান্য সকল অংশীজনের এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। এমন কিছু ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মী আছে যারা ১৭ বছর এই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেনি। ফলে তাদের ছাত্রত্ব হারিয়েছে। কিন্তু সেই ছাত্র নেতারা তাদের জীবন বিপন্ন করেও বিগত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিল। তাদের অনেকের নামে একাধিক মামলাও আছে। সেই সকল ছাত্রনেতাদের এই নির্বাচনের বাইরে রাখা মোটেও সমীচীন হবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন, বর্তমান প্রশাসন ও রাকসু নির্বাচন কমিশন প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের রাকসুর ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করেননি যা তাদের অধিকারকে চরমভাবে ক্ষুণ্ণ করেছে এবং আপাতদৃষ্টিতে তা সম্পূর্ণরূপে আইন বর্হিভূত মনে হচ্ছে। কেননা, প্রথম বর্ষের ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের রাকসুর জন্য প্রযোজ্য ফি জমা দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করেছে। তাই রাকসুতে অংশগ্রহণ করার অধিকার তারা ইতোমধ্যেই অর্জন করেছে। অথচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বা রাকসু নির্বাচন কমিশনের এ বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে অগ্রাহ্য করে আসছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং রাকসু নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে উদাসীন ভূমিকা পালন করেছে। এ বিষয়ে তারা পজিটিভ চিন্তা-ভাবনা করতে পারতো। কিন্তু রাবি প্রশাসন বা রাকসু নির্বাচন কমিশন কেউই এ ব্যাপারগুলোতে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী ও নির্যাতিত, ত্যাগী কারাভোগকারী ছাত্র নেতাদের এই নির্বাচন প্রক্রিয়ার বাইরে রেখে জোরপূর্বক যেনতেনভাবে একটি রাকসু নির্বাচন করাই যায়! অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বর্তমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও রাকসু নির্বাচন কমিশন সেটি করতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ফলে দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠেয় রাকসু নির্বাচন একটি বড় প্রশ্নের মুখে পড়তে যাচ্ছে; আর তা হলো- প্রথম বর্ষের ছাত্র-ছাত্রী ও নির্যাতিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত ও কারাভোগকৃত ছাত্রনেতাদের ছাড়া নির্বাচন কতটা গ্রহণযোগ্য হবে? এ বিষয়গুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।