শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে চিঠি

হলের স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী আবিদের ‘অপপ্রচার’

আবিদ ও রিফাত
আবিদ ও রিফাত  © টিডিসি সম্পাদিত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত ভিপি (সহ-সভাপতি) প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের অপপ্রচার সংক্রান্ত একটি অভিযোগ জমা দেওয়া হয়েছে নির্বাচনের চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের কাছে। আজ মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) স্যার এ এফ রহমান হলের স্বতন্ত্র জিএস (সাধারণ সম্পাদক) প্রার্থী আশিকুল হক রিফাত এই অভিযোগপত্রটি জমা দেন।

পরে তিনি দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আবিদুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগপত্র চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দিয়েছি। পরে উনি ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 

স্যার এ এফ রহমান হলের স্বতন্ত্র জিএস প্রার্থী রিফাত সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী এবং আমাদের সময় পত্রিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি। 

জানা যায়, গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) বিকেলে মধুর ক্যানটিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে আবিদুল ইসলাম খান বলেন, আমরা তথ্য পেয়েছি স্যার এ এফ রহমান হলে এক সাংবাদিক সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং যেসব শিক্ষার্থী ছাত্রদলের প্যানেলের পক্ষে কাজ করছে তাদেরকে সে বাধাগ্রস্ত করছে, বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া দিচ্ছে এবং ব্লাকমেইলিং করছে। 

এসময় আবিদুল ইসলাম খান নির্বাচন কমিশন এবং হল প্রশাসনকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তিনি বলেন, আমি ডাকসু নির্বাচন কমিশন এবং সেই হলের প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি- বিষয়টি তদন্ত করবেন এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। 

ভিপি প্রার্থীর এমন অভিযোগের পর আজ মঙ্গলবার বিষয়টি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় আসে। অন্যদিকে অভিযুক্ত প্রার্থী আশিকুল হক রিফাত অভিযোগের বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অপপ্রচার চালিয়েছেন। আমার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় শঙ্কিত হয়েই তারা এ ধরনের অসত্য প্রচারণা চালাচ্ছে।

এই প্রার্থী বলেন, আবিদুল ইসলাম খানকে উত্থাপিত অভিযোগের যথাযথ প্রমাণ উপস্থাপন করতে আহ্বান জানাচ্ছি। 

‘‘অভিযোগের ব্যাপারে প্রমাণ উপস্থাপন করতে আহ্বান করার ২৪ ঘন্টা হতে চলেছে, ছাত্রদলের ভিপি ক্যান্ডিডেট আবিদ এখনোও কোনো ক্ল্যারিফিকেশন দেননি। আমার ফোনও রিসিভ করেননি।’’

এদিকে অভিযোগপত্রে রিফাত বলেন, গতকাল সোমবার (২৫ আগস্ট) এক সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুর রহমান খান আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালান। তিনি বলেন, আমরা এমনও তথ্য পেয়ে এফ রহমান হল থেকে, এফ রহমান হলের একজন সাংবাদিক সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যে স্টুডেন্টরা ছাত্রদলের ছেলেদের পক্ষে কাজ করছে, সেই সাংবাদিক স্টুডেন্টদের বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেইল করছে।

‘‘প্রথমেই উল্লেখ করতে চাই, আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ শিক্ষার্থী এবং সেই হিসেবে আমার নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। সরাসরি আমার নাম উল্লেখ না করলেও ইঙ্গিতের মাধ্যমে আমাকে উদ্দেশ্য করে অপপ্রচার চালিয়েছেন। কোনো প্রকার প্রমাণ ছাড়াই প্রকাশ্যে আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে তিনি মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। এর ফলে শুধু আমার ব্যক্তিগত সুনাম ও মর্যাদাই ক্ষুণ্ন হয়নি, বরং আমার নির্বাচনী প্রচারণাতেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’’

অভিযোগপত্রে রিফাত আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি, এ ধরনের অপপ্রচার কেবল একজন প্রার্থীর ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা নয়; বরং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা। তাই ঘটনার যথাযথ তদন্তপূর্বক আবিদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করছি।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!