ডাকসু নির্বাচন
সবার আগে প্যানেল ঘোষণা ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের (ভিডিও)
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৪:২৭ PM , আপডেট: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ০২:২৬ AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর। এই নির্বাচন উপলক্ষে সবার আগে প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ। আজ বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে ডাকসু ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ঢাবি শাখার সাবেক সভাপতি ইয়াসির আরাফাতকে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে, ঢাবি শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আহসান মারজানকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে, ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ আলাউদ্দিনকে সহ সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ সময় পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।
পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে অন্যান্যরা হলেন: আবু বকর (শিক্ষা ও গবেষণা) মোহাম্মদ আলী (ইসলামিক স্টাডিজ) প্লাবন আহমেদ (ইইই), আ. রহমান মাহফুজ (ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ), ইলিয়াস তালুকদার (আইবি), জুরাইয়া আক্তার (মলিকুলার সাইন্স), মুঈনুল ইসলাম (ইসলামের ইতিহাস), ইয়াসিন আরাফাত (সমাজবিজ্ঞান), ইমরান হোসাইন (ব্যাংকিং), ইসমাইল হোসাইন (ইসলামের ইতিহাস), সাব্বির আহমেদ (ইতিহাস), মানসুরুল হক শান্ত (ফিন্যান্স), মোসা. হাবিবা (ভাষাবিজ্ঞান), শাহরিয়ার জাবির (আইন), ওমর ফারুক (ইসলামিক স্টাডিজ), আফজাল হোসাইন সিয়াম (আরবি), নূরুল জান্নাত মান্না (আরবি), ইকরামুল কবির (ইসলামিক স্টাডিজ) আরিয়ান মাহমুদ রাসেল (ইসলামিক স্টাডিজ), মোহাম্মদ রিয়াদ (ওএসএল), রেজাউল করিম (আরবি), এরফান মোহাম্মদ (জার্নালিজম), জাকিয়া মুন (প্রিন্টিং এন্ড পাবলিকেশন), আব্দুর রহিম (ইসমামিক স্টাডিজ) আব্দুর রহমান মাহফুজ (ইসলামিক স্টাডিজ)।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সকল নাগরিক অধিকার নিশ্চিতে ছাত্র রাজনীতি সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। একইসাথে ছাত্র রাজনীতির নামে হল দখল, সিট বাণিজ্য, গেস্ট রুম গণ রুম কালচার, চাঁদাবাজি, শিক্ষকদের মানহানি, ক্যাম্পাসকে মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করা, খুন, ধর্ষণসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রমের প্রতিযোগিতাও হয়েছে ছাত্র রাজনীতির নামে। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ শিক্ষার্থীদের জন্য কল্যাণমূলক ছাত্র রাজনীতি সবসময়ই চর্চা করে আসছে এবং বিগত প্রায় তিন যুগ সকল অপরাধপ্রবণতা থেকে মুক্ত থেকে শিক্ষার্থী বান্ধব ভূমিকা পালনের চেষ্টা করছে।
‘‘আমরা বিশ্বাস করি, ক্যাম্পাস রাজনীতি হবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের বলিষ্ঠ মাধ্যম। কিন্তু ডাকসুকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে পুঁজিবাদী আস্ফালন এবং যে টাকার ছড়াছড়ি চলছে তাকে আমরা সন্দেহের চোখে দেখছি।’’
নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়, আমাদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলে নারী শিক্ষার্থীদের হলে বৈদ্যুতিক পাখা অথবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, রেজিস্ট্রার অফিসকে ডিজিটালাইজড করা; নিরাপদ, বৈষম্যহীন ও সহনশীল শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত, শতভাগ আবাসন সুবিধা ও আবাসন মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, গবেষণাভিত্তিক স্কলারশিপ ও ল্যাব সুবিধা বৃদ্ধি, ডিজিটাল লাইব্রেরি ও স্মার্ট ক্লাসরুমের ব্যবস্থা, অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা সিস্টেম এবং তৎপরবর্তী কার্যক্রমগুলোকে আরও উন্নত ও সহজকরণ, বিভাগ ও হল পর্যায়ে দুর্নীতি ও হয়রানি বন্ধে ছাত্র-অভিযোগ সেল গঠন, মেডিকেল ব্যবস্থাকে উন্নত করার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তায় হেল্পলাইন ও কাউন্সেলিং সেবা চালু, ক্যারিয়ার গাইডেন্স, ইন্টার্নশিপ ও স্কিল ট্রেনিং নিশ্চিত, প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাথাপিছু ব্যয়কে যথাযথ স্বচ্ছতার সহিত কাজে লাগানো, এবং সকল ছাত্রসংগঠনের রাজনৈতিক সহাবস্থান ও গঠনমূলক ছাত্ররাজনীতি প্রতিষ্ঠা করা সহ সকলকে সাথে নিয়ে একটি গণমুখী ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে প্রশাসনকে বাধ্য করার দীপ্ত প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।