আপনাকে আমরা বসিয়েছি, ভিসিকে বলা বক্তব্যের ব্যাখ্য দিলেন সেই শিক্ষার্থী
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৫, ১০:১০ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৬:২৯ PM

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বাগ্বিতণ্ডার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উপাচার্যের কক্ষে তার আসন ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। চলছিল বাগ্বিতণ্ডা। এ সময় একজন বলেন, ‘আপনি নিজ যোগ্যতায় বসেননি, আপনাকে আমরা বসিয়েছি। আপনি আমাদের কথা শুনতে বাধ্য।’
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলের এই ঘটনাটির একটি চার মিনিটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়।
জানা যায় মন্তব্যটি করেছিলেন আহসান হাবিব নামের চবির একজন শিক্ষার্থী। তিনি আজ শনিবার (৫ জুলাই) রাতে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে এর ব্যাখ্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেন, কুশল বরণের প্রমোশন বোর্ডের খবর পেয়ে আমরা রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর নিচে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশিরভাগ ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। দুপুর আড়াইটা থেকেই আমরা প্রতিবাদ সমাবেশ শুরু করি। ৩টার দিকে আমরা ভিসি স্যারের রুমে যাই এবং কুশলের প্রোমোশন বোর্ড বাতিলের দাবি জানাই। রুমে যাওয়ার পরই স্যার বলেন তোমরা তোমাদের নাম, পরিচয়, ডিপার্টমেন্ট, লিখে দাও। একজন চেয়ারে বসতে চাইলে বলেন, বসতে পারবা না।’
তারপর সিনিয়ররা কয়েকজন বসলে কথা বলা শুরু হয়। ভিসি স্যার অজুহাত দেখিয়ে বলেন, ঢাবিতে কয়দিন আগে বোর্ড বসেছিল। সেখানে কে দোসর, কে অপরাধী তা দেখা হয় নি। তাই আমরাও এটা দেখতে পারবো না। এমন কথা শোনার পর মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা যেকোনো শিক্ষার্থীর পক্ষেই কঠিন হয়ে পড়ে। আমরা বলতে থাকি, আপনারা জুলাইয়ের প্রশাসন, দুইজন শহীদের রক্তের উপর দিয়ে আপনারা এসেছেন। আমরা আপনাদেরকে বসিয়েছি (এখানে আমরা বলতে ছাত্রজনতাকে মিন করা হয়েছিলো)।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুশল বরণ চক্রবর্তীর পদোন্নতির সাক্ষাৎকার ছিল শুক্রবার। এই সাক্ষাৎকার বাতিল ও কুশল বরণকে চাকরিচ্যুত করার দাবিতে দুপুরের পর থেকেই প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদকেও ওই অবস্থান কর্মসূচিতে দেখা গেছে। সেখান থেকেই সাড়ে তিনটার দিকে উপাচার্য কার্যালয়ে যান তারা। কথোপকথনের ভিডিওটি সেই সময়কার।