চবিতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক, মুচলেকায় মুক্তি
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২৫, ১১:২৪ PM , আপডেট: ২৫ মে ২০২৫, ০৬:৩৮ PM

নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মী ও চট্টগ্রাম ‘শ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইমন চন্দ্র বর্মনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজয় গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বুধবার (২১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে মারধরের পর তাকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসে মারধরকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মারধর ও হামলার অভিযোগে গত ২০ জানুয়ারি ৮৪ জনকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। ওই ৮৪ জনের মধ্যে ছিলেন ইমন। তবে ক্যাম্পাসে তিনি হিমাদ্র নামে পরিচিত।
জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই ইমন চন্দ্র বর্মন ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন। এই খবর পেয়ে আজ দুপুর দেড়টার দিকে ক্লাস করতে যাওয়ার সময় মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে কিছু শিক্ষার্থী। এদিকে মারধরের সঙ্গে জড়িতরা ছাত্রদলের কর্মী বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ইমন।
ভুক্তভোগী ইমন চন্দ্র বর্মন বলেন, আমি আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলাম না। বহিষ্কারাদেশের পর আমি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছি। আমার ব্যাচের বন্ধুরাও বহিষ্কারাদেশের পর আমার পক্ষে স্বাক্ষর করে। আমি যদি আন্দোলনের বিপক্ষে থাকতাম তাহলে তারা কেন আমার পক্ষে স্বাক্ষর করত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রদলের জৈষ্ঠ সিনিয়র সহ সভাপতি মামুনুর রশিদ বলেন, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন কর্মী কিভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করে আমার বুঝে আসেনা। সে আন্দোলনে বিরোধীতা করেছে। তাকে মারধর করেছে বলে এমন কোনো এভিডেন্স আছে আমার মনে হয়না। তবে সে যদি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কর্মী হয়ে থাকে তাহলে এটাই যথেষ্ট।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বজলুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের ওই কর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়। তবে সে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাকে প্রক্টর অফিসে নয়ে আসে। পরবর্তীতে বহিষ্কারাদেশ নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়।