ঈদের ছুটিতে জনশূন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  © টিডিসি ফটো

ঈদের লম্বা ছুটিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা ছুটে চলছে বাড়ির পথে, ফলে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে নেমে এসেছে শুনশান নীরবতা। সারা বছর যার আনাচে-কানাচে শিক্ষার্থীদের হাসি-আড্ডা আর প্রাণচাঞ্চল্যে মুখর থাকে, সেই ক্যাম্পাস এখন যেন এক নিঃসঙ্গ নগরী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, টিএসসি, প্রশাসনিক ভবন, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরি, কিংবা কাফেটেরিয়া—সব জায়গায় বিরাজ করছে এক ধরনের স্থবিরতা। হলগুলোর করিডোরে যেখানে সারাবছর শিক্ষার্থীদের কোলাহল শোনা যায়, এখন সেখানে শুধুই নীরবতা। 

গত ২০ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ হলে বাড়িতে যাওয়া শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন থেকে বন্ধ হতে থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনসমূহ। ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধে সবচেয়ে বেশি উচ্ছ্বসিত দেখা গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের। যদিও যারা একটু তুলনামূলক সিনিয়র ও টিউশন করান তাদের উচ্ছ্বাস যেন একটু কমই। তাদের নেই বাড়ি যাওয়ার তড়িঘড়ি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এই ঈদই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তাদের প্রথম ঈদ। প্রতিবার বাবা-মা পরিবার-পরিজনের সাথে রমজানের আনন্দঘন ইফতার, সেহরি করা হলেও এবার রমজানের দুই-তৃতীয়াংশ সময় কেটেছে পরিবারের বাইরে। তাই বাকি সময়টা পরিবারের সাথে কাটাতেই তাদের উচ্ছ্বাসের অন্ত নাই।

প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, এটাই আমার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের প্রথম ঈদের ছুটি। এবারের রমজান বেশির ভাগ সময় ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সাথে কাটিয়েছি এখানেও একটা মজার অভিজ্ঞতা হয়েছে। বাবা-মা, ভাই-বোনকে মিস করতেছি। তাই বাকি সময়টা পরিবারের সাথে কাটাতেই বাড়িতে যাওয়ার তড়িঘড়ি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আকাশ আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ২০ তারিখ বন্ধ হলেও টিউশন থাকায় বাড়িকে যাইতে পারি নাই। রমজানে পরিবার পরিজনকে মনে পড়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ইফতার, সেহরিতে পরিবারের সাথে যে মধুর পরিবেশ তৈরি সেটা অবশ্যই মিস করছে। তবে এখানেও একটা পরিবারের মতো পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও বন্ধুদের সাথে, হলের ও বিভাগের সিনিয়র ও জুনিয়রদের ইফতারের আয়োজন থাকছে মোটামুটি ভালো আনন্দের সাথে রমজান যাচ্ছে। 

বাড়িতে যাওয়া আরেক শিক্ষার্থী মুঠোফোনে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানায়, বাড়িতে এসে মনে হচ্ছে ক্যাম্পাসের ইফতার সময়টা মিস করতেছি। 


সর্বশেষ সংবাদ