ঢাবির উর্দু বিভাগের তিন শিক্ষকের অব্যাহতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৩৭ PM , আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৫, ১১:৩২ AM
শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিপক্ষে অবস্থান, গণহত্যার স্বপক্ষে সম্মতি উৎপাদন এবং পূর্ববর্তী নানান গুরুতর অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগের তিন শিক্ষকের অব্যাহতির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে আয়োজিত ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। অভিযুক্তরা হলেন, চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক গোলাম মাওলা, অধ্যাপক মাহমুদুল ইসলাম এবং সহযোগী অধ্যাপক হোসাইনুল বান্না।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত পহেলা জুলাই থেকে পাঁচ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গণহত্যার স্বপক্ষে সমর্থনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মাহমুদুল ইসলাম, ড. হুসাইনুল বান্না এবং চেয়ারম্যান মো. গোলাম মাওলার বিরুদ্ধে স্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া যায়। এছাড়াও তাদের বিরূদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, প্লেজিয়ারিজম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অভিযোগে শান্তি এড়িয়ে যাওয়া, গণহত্যার পক্ষে সমর্থনকারী, রেজাল্ট টেম্পারিং এবং নিয়োগ সিন্ডিকেট এর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষত মো. গোলাম মাওলা ও ড. মো. মাহমুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এর অভিযোগ পাওয়া যায়।
এছাড়া,ড. হুসাইনুল বান্নার বিরুদ্ধে গত ১৬ আগস্ট জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় আন্দোলন পরবর্তী সময়ে গণঅভ্যুত্থান নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য ও শহীদদের নিয়ে অসম্মান-জনক বক্তব্য প্রদানের অভিযোগ প্রকাশিত হয়।
বিভাগটির তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান ঝুমু দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে যেসকল শিক্ষক অবস্থান করছে তাদেরকে আমরা শিক্ষক হিসেবে মানি না। তারা শিক্ষকের মর্যাদা হারিয়েছে। এসকল শিক্ষকরা বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকে যৌন নিপীড়ন করতো। এমনকি আমাদের পোশাক নিয়েও কথা বলতো। ডিপার্টমেন্টের ট্যুরে গেলে অনেক সময় মেয়েদের গায়ে হাত দিতো।
উর্দু বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা নানাভাবে হয়রানি শিকার হয়েছে আন্দোলন চলাকালীন সময়ে। আমরা কোন অবস্থানে আছি চেয়ারম্যান স্যার কোন খোঁজ নেয়নি। এছাড়াও ক্লাসের মধ্যে অনেক শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতো। গোলাম মাওলা ও মাহমুদুল মেয়েদের ড্রেস নিয়েও কথা বলতো। কেউ যদি খুব পর্দা করে আসতো তাকে নানাভাবে হয়রানি করতো।