কালই ক্লাসে ফিরতে চান কোটা আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা, তবে...

  © টিডিসি ফটো

সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটা পদ্ধতি নিয়ে আদালতের আপিল বিভাগের রায় প্রত্যাখ্যান করেছেন কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, সরকারের নির্বাহী বিভাগ থেকে তাদের আশ্বাস প্রদান করতে হবে। আশ্বাস প্রদান করা হলে আগামীকালই তারা ক্লাসে ফিরবেন। তা না হলে তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

আজ বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে কোটার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে আপাতত কোটা থাকছে না বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী। 

এদিকে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ২০১৮ সালের পরিপত্রের খেলা আমরা আর খেলতে চাই না। আমাদের নির্বাহী বিভাগ যদি আশ্বাস দেয় যে অনগ্রসর জাতির জন্য ৫% কোটা রেখে সকল কোটা বাতিল করা হবে, তাহলে আজকেই আমাদের শেষ আন্দোলন। আমরা কাল থেকে ক্লাসে ফিরে যাবো। মুক্তিযোদ্ধা কোনো পোষ্য কোটা নয়, এটা কোনো কোটা হতে পারে না।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আসিফ মাহমুদ বলেন, আজকে সারাদেশে ও ঢাকায় কোনো গাড়ির চাকা ঘুরতে দেওয়া হয়নি। আগামীকাল বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলাদেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে শিক্ষার্থীরা বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করবে। সাড়ে ৩টায় আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সমবেত হয়ে এ কর্মসূচির সূচনা করবো।

এর আগে গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দুদিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর গতকাল মঙ্গলবার বিরতি দেওয়া হয়।

কোটা সংস্কার দাবিতে চলমান কর্মসূচির আওতায় আজ তৃতীয় দিনের মতো পালিত হয় বাংলা ব্লকেড। আজ সকাল ১০টা থেকে ব্লকেড পালন করেন আন্দোলনকারীরা। এর আগে গত রবিবার বিকেলে ৩টা এবং সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে ৫-৬ ঘণ্টা করে বাংলা ব্লকেড পালন করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ