কোটা আন্দোলনকারীরা জামায়াত শিবির, প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান ঢাবি অধ্যাপকের 

  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করায় আবার জেগে উঠছে কোটা বিরোধী আন্দোলন। কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীদের নেতৃত্বে স্বাধীনতা বিরোধীরা জড়িত দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে বললেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম জামাল উদ্দিন।

বুধবার (২৬ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য প্রদানকালে একথা বলেন তিনি। এসময় তিনি কোটার পক্ষে নানা যুক্তি দেখান।

তিনি বলেন, হাইকোর্ট কোটা পুনর্বহাল করার পর এই কোটাকে কেন্দ্র করে কোটা-বিরোধীরা ২০১৮ সালে যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতা তৈরি করেছিলো, তারা যেভাবে  উপাচার্যের বাড়িতে হামলা করেছিলো সেটি খুবই নজিরবিহীন। তারা আবার জেগে উঠেছে কারণ তারা স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, জামায়াত শিবির। বর্তমানে প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে লুকিয়ে তারা কোটা বিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

তিনি আরও, পবিত্র কোরানের সূরা আনফালের পরিস্কারভাবে বলা আছে, যারা বিজিত বাহিনী হবে, তারা দেশের সম্পদ, চাকুরি, অর্থ ও ভূখণ্ডের পাঁচ ভাগের চার ভাগের নিয়ন্ত্রণ পাবে। এক ভাগ থাকবে দুঃস্থ-এতিমদের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর যে অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত হয়েছে। তাদেরকে কিছুই দেওয়া হয়নি। অথচ তারা ছিল এদেশের বিজিত বাহিনী।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছেন। কিছু না দিতেই তার সময় ফুরিয়ে যায়। ২০০৯ সালে তিনি দিতে শুরু করেছেন। তারপর ২০১৪ সালে তারা আন্দোলন শুরু করে। ২০১৮ সালে তারা অরাজকতা সৃষ্টি করে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো স্থান ব্যবহার করে আবার যেন কেউ ‘অরাজকতা’ তৈরি করতে না পারে সে ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালে নির্বাচন ছাড়াই সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিলেন এই অধ্যাপক।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence