‘অবাঞ্চিত’ ঘোষণার পর লিটনকে এড়িয়ে চলছে জাবি ছাত্রলীগ
- জাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:১১ PM , আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২০ PM
অনুসারীদের অবাঞ্চিত ঘোষণার পর এবার নিয়মিত কর্মসূচিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে এড়িয়ে চলছেন নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সংগঠনটির নেতাকর্মীরা লিটনকে ছাড়াই সাভার-আশুলিয়ার সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
এদিন দুপুর ৩টায় সংসদ সদস্য সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলমের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আসলে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপস্থিত থাকলেও দেখা যায়নি হাবিবুর রহমান লিটনকে।
এর আগে, গত ২৩ জানুয়ারি দুই শতাধিক নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে ছাত্রলীগ নেতা লিটনকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে জমি দখলসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এনে অনুসারীরা তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এদিকে, উপাচার্যের কার্যালয়ে পৌঁছানোর পর নেতাকর্মীরা সংসদ সদস্যের সাথে কার্যালয়ে যেতে চাইলে প্রক্টরের বাধার মুখে পড়েন। পরে নেতাকর্মীরা ভেতরে যেতে না পারলেও সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক লিটনের অনুসারীরা বিক্ষোভ করেন। এসময় সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক চিন্ময় সরকার উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে হাবিবুর রহমান লিটনকে একাধিকবার ফোন করেও তার থেকে কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল বলেন, আজকে শুধুমাত্র একটি সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। সাধারণ সম্পাদক অসুস্থ থাকার জন্য আসতে পারেননি। এটা স্বাভাবিক। এটা পরিকল্পিত কোনো প্রোগ্রাম না। এমপি মহোদয়ও হুট করেই এসেছেন। আমরা যে যার জায়গা থেকে এসেছি।
তবে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের দাবি, হাবিবুর রহমান লিটন না আসায় তাদের কর্মসূচি সফল হয়েছে। নেতাদের একজন চিন্ময় সরকার বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শের রাজনীতি করি। এখানে যিনি এসেছেন সাভারের মাননীয় সংসদ সদস্য তিনিও বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করেন। সেই জায়গা থেকে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে নেতাকর্মীরা সমবেত হয়েছেন।
হাবিবুর রহমান লিটনের অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি তাকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করায় তিনি আসেননি। তিনি এটা মেনে নিয়েছেন। আর অবাঞ্চিত হওয়ার পর তা না আসাই স্বাভাবিক ছিল।