ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ বাতিলে আল্টিমেটাম শিক্ষার্থীদের

ঢাবির সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
ঢাবির সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ বাতিল দাবিতে নতুন আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, ভর্তি আবেদনের তারিখ শেষ হওয়ার আগে আগামী ০১ জানুয়ারির মধ্যে বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ বাতিল করে সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত জাকারিয়া। এসময় আন্দোলনরত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘‘ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে বিতর্কিত ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দের প্রত্যাহার করার মাধ্যমে চলমান বিতর্কের নিরসন করা হবে। যেহেতু আগামী ৫ জানুয়ারী ভর্তি আবেদনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ অভিভাবক হিসেবে উপাচার্য স্যার আমাদের দাবি মেনে নেবেন।’’

সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শিক্ষার্থীবান্ধব। ইতোপূর্বে যতবারই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অসুবিধা নিয়ে তার কাছে গিয়েছি, তিনি ততবারই দ্রুত সময়ের মধ্যে সমস্যাগুলো সমাধানে তড়িৎ পদক্ষেপ নিয়েছেন। আমরা এবারও তার প্রতি আস্থা রেখে আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি পুনরায় ব্যক্ত করছি।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দ বাতিলের দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী। পরে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একটি স্মারকলিপি দেন।

শিক্ষার্থীরা হিজড়াদের বিরুদ্ধে নয়, বরং ট্রান্সজেন্ডার (পুরুষরূপী নারী) বিরুদ্ধে উল্লেখ করে সাখাওয়াত জাকারিয়া বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কখনোই হিজড়া জনগোষ্ঠীর কোটার বিরোধীতা করেনি। শিক্ষার্থীরা হিজড়া জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষার জন্যই আন্দোলন করে যাচ্ছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জাকারিয়া বলেন, ‘‘আগামী ১ জানুয়ারির (সোমবার) মধ্যে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘ট্রান্সজেন্ডার’ শব্দটি প্রত্যাহার করে সংশোধিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। আমরা চলমান এই বিতর্কের শান্তিপূর্ণ সমাধান চাই। কিন্তু যদি তা না করা হয়, তবে শিক্ষার্থীরা বসে থাকবে না। শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিল ছেড়ে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে।’’


সর্বশেষ সংবাদ