চবিতে মানববন্ধন

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগ

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগে মানববন্ধনে চবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সঙ্গে বৈষম্যের অভিযোগে মানববন্ধনে চবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা  © টিডিসি ফটো

নন গভর্মেন্ট টিচার্স রেজিষ্ট্রেশন এন্ড সার্টিফিকেশন অথরিটির (এনটিআরসিএ) ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের প্রভাষক ও সহকারী মৌলভী পদ থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা এগারোটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বিভাগটির সভাপতি প্রফেসর ড. আ. ন. ম. আব্দুল মাবুদ বলেন, আজকে আমার বিভাগের শিক্ষার্থীদের দুঃখ কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি তাদের একজন অভিভাবক হিসেবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরা কুরআন, হাদিস, আরবি ফিকাহসহ সকল বিষয়ে অধ্যয়ন করে যোগ্য হয়ে গড়ে ওঠে। সুতরাং পদ থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করা কোনভাবে কাম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, এনটিআরসিএ কর্তৃক ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন বিজ্ঞপ্তি বাতিলের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। একই সাথে দ্রুত সংশোধিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের অনুরোধ করছি। অন্যথায় শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবে।

আরও পড়ুন: ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাফেটেরিয়ায় যান না শিক্ষকরা, বাধ্য হয়ে খান শিক্ষার্থীরা

বিভাগটির শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সদস্য আবু সালতান বলেন, বিগত ১ম হতে ১৭তম নিবন্ধন পরীক্ষা পর্যন্ত স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসার সহকারী মৌলভি ও আরবী প্রভাষক পদে আবেদন করতে পারত। কিন্তু ১৮ সালের সংশোধিত  নীতিমালায় ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ  আরবি বিভাগের ৯৯% সিলেবাস ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং এই নীতিমালা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। 

প্রসঙ্গত, গত ২৩ নভেম্বর শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ১৮তম বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। সেখানে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রীপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সহকারী মৌলভী পদে আবেদনের সুযোগ রাখা হয়নি। 


সর্বশেষ সংবাদ