নির্দোষ দাবি যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ঢাবি অধ্যাপকের
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:২০ PM , আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:২৫ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত নয় উল্লেখ করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে প্রতিবাদ লিপি দিয়েছেন।
আজ সোমবার মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটনা ও মানহানির বিরুদ্ধে প্রতিবাদলিপি প্রকাশ করেন।
প্রতিবাদলিপিতে তিনি উল্লেখ করেন, একাডেমিক উদ্দেশ্যে ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থানকালে একটি স্বার্থন্বেষী মহল আমার ব্যক্তিগত অবস্থান বিনষ্ট ও দখলের উদ্দেশ্য মিথ্যা অপবাদ ও কুৎসা রটনার মাধ্যমে জাতির কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে।
আরও পড়ুন: পরামর্শের জন্য শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে যৌন হয়রানির শিকার ঢাবি ছাত্রী
প্রতিবাদলিপিতে তিনি আরো বলেন, ‘গত ২৮/১১/২০২৩ থেকে ২/১২/২০২৩ পর্যন্ত দেশের বাইরে অবস্থান করা এবং ভারতের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক টানা কর্মব্যস্ততায় সাংবাদিক বন্ধুগণ আমার সাথে যোগাযোগ করার সুযোগ পাননি। একটি মহল এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিক বন্ধুদেরকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণের মাধ্যমে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সকল মহলের কাছে আমার অনুরোধ, অসত্য অভিযোগ দিয়ে এদেশের শিক্ষার বাতিঘর সম্মানিত শিক্ষকগণকে যেনো হেনস্তার শিকার হতে না হয়, সে ব্যাপার সৎ, নিরেপক্ষ ও সাহসী ভূমিকা রাখবেন। আমার অনুপস্থিতির সুযোগে মিথ্যা অপবাদ ও হেনস্থার বিরুদ্ধে জাতির দর্পণ সাংবাদিক বন্ধুদের সৎ, নিরপেক্ষ ও সাহসী ভূমিকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: যোগাযোগের চেষ্টা মেসেঞ্জার-ফোনে, অধ্যাপকের দাবি— ছাত্রীকে চেনেন না!
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিজ কক্ষে ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। পরে ভুক্তভোগী ছাত্রী গত মঙ্গলবার ঘটনার বিচার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বরাবর একটি অভিযোগপত্র দেন। তারপর ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার চেয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন এবং উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ ঘটনায় গত ৩০ নভেম্বর সিন্ডিকেট সভায় তিন সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সম্প্রতি ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থীকে চেনেন না দাবি করে গণমাধ্যমে কথা বললেও মোবাইল ও মেসেঞ্জারে যোগাযোগের চেষ্টার বিভিন্ন ছবি প্রকাশ হয়।