ঢাবির রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের উপর অন্য গ্রুপের হামলা
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৩:৪০ PM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:০৬ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের উপর অন্য গ্রুপের হামলা ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ রোকেয়া হল ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক শাহারিয়া তিথি, কর্মী ফারজানা পারভিন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক বিপর্ণা রায়ের নেতৃত্বে ১৫ - ২০ জন কর্মী নিয়ে হল ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আয়েশা সিদ্দিকী রুপার রুমে প্রবেশ করে তার কর্মী এবং তার উপর চড়াও হয় এবং মারধর করে।
আয়েশা সিদ্দিকা রূপা ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতের অনুসারী এবং অভিযুক্তরা রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেনের অনুসারী অর্থাৎ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী। তবে হামলার সময় আতিকা উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।
মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে আয়েশা সিদ্দিকী রুপা দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, এটা সত্য। গতকাল রাত এগারোটার সময় শাহরিয়া তিথির নেতৃত্বে পনেরো থেকে বিশ জন আমার রুমে ঢুকে। আমি তখন রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তারা প্রথমেই আমার জুনিয়রদের উপর চড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে মারধর করে। রাত আড়াইটা পর্যন্ত তারা এধরণের কার্যকলাপ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাবির রোকেয়া হল ছাত্রদল কর্মীর বাবাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
চলতি বছরে এর আগেও ১১২১ নাম্বার রুম নিয়ে আয়েশা সিদ্দিকী রুপার রুমে হামলার অভিযোগ উঠে আতিকার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। সেবার তদন্ত কমিটিতে আতিকা বিনতে হোসেনকেই প্রধান করা হয়। যার ফলে সৃষ্টি হয়েছিলো নানা আলোচনা সমালোচনা। তবে আয়েশা সিদ্দিকী রুপার অভিযোগ আতিকা এবং তার সহকর্মীরা তাকে (রুপা) রাজনীতি করতে দিতে চায় না। কারণ রুপার বাড়ি মাদারীপুর কিন্তু আতিকা চায় না দক্ষিনবঙ্গ থেকে কোনো নেতা থাকুক।
এ বিষয়ে জানার জন্য শাহরিয়া তিথিকে কল দেওয়া হলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর কল কেটে দেন। এদিকে হল ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছেন কি না জানতে চাইলে ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমি ঘটনা সম্পর্কে অবগত আছি। এটা আসলে দুঃখজনক। এধরণের ঘটনা আমরা কামনা করি না। ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী একজন আরেকজনের প্রতি সৌহার্দপূর্ণ আচরণ করবে এটাই আমরা চাই। বিষয়টি আমরা খুঁটিয়ে দেখছি। আমরা দুই গ্রুপের সাথেই কথা বলার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা জানান, আমি এ বিষয়ে অবহিত নয়।