আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে রাবি সেইভ ইয়ুথের র‍্যালি

আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে রাবির সেইভ ইয়ুথের র‌্যালি
আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবসে রাবির সেইভ ইয়ুথের র‌্যালি  © টিডিসি ফটো

‘শান্তির বাংলাদেশ গড়ি’ স্লোগানকে ধারণ করে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যালি করেছে সেইভ ইয়ুথ (স্টুডেন্ট অ্যাগেইনেস্ট ভায়োলেন্স এভরিহয়্যার) রাবি চ্যাপ্টার।

সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১১টায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বর থেকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে র‍্যালিটি শেষ হয়। র‌্যালিতে শিক্ষকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

এসময় হাতে হাত রেখে প্রতিরোধ গড়ি; সহিংসতা দূর করি, সহিংসতা প্রতিরোধ করি; শান্তির বাংলাদেশ গড়ি', প্রয়োজন অহিংসার বাণী দেশে দেশে জাতি, সংঘাত নয় শান্তির পৃথিবী চাই,  ক্রোধ এবং অসহিষ্ণুতা হলো সঠিক বোধগম্যতার শত্রু, চলো ছড়িয়ে দেই অহিংসার বাণী, যুবরাই লড়বে শান্তিময় আগামীর পৃথিবী গড়বে এমনসব প্লেকার্ড প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা দাবি জানায়।

73a8aa3f-ee9e-4b61-8ab2-8d44bd0aa8e8

র‍্যালিতে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কো-প্রেসিডেন্ট আশরেফা আফরিন বলেন, সেইভ ইয়ুথ প্লাটফর্ম তরুণদের মাধ্যমে সারাদেশে সহিংসতা প্রতিরোধ করে শান্তির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। সেই ধারাবাহিকতায় 'শান্তির বাংলাদেশ গড়ি' এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশে সাতটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক অহিংসা দিবস পালন করছে সংগঠনটি৷ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ র‍্যালির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে অহিংসার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছে রাবি চ্যাপ্টারের শিক্ষার্থীরা। 

রাবি চ্যাপ্টারের মডারেটর ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাদিকুল ইসলাম সাগর বলেন, আজকের অহিংসা দিবসে আমরা একটি শান্তিপূর্ণ র‍্যালি করেছি। আজকের দিনটি মূলত মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন। জাতিসংঘের সাধারণ সভায় এই দিবসটি আন্তর্জাতিক দিবসের স্বীকৃতি লাভ করে। আমরা শান্তির বাংলাদেশ গড়তে চাই। সেই শান্তির দেশ গড়তে আমাদের যুব শক্তি আমাদের এগিয়ে নিতে পারে। সকল ধরনের অসহিষ্ণুতা, হিংসা, বিদ্বেষকে পরিহার করে শান্তির বাংলাদেশ গড়তে যুব সমাজ কাজ করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। 

র‍্যালিতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, প্রক্টর আসাবুল হক এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

উল্লেখ্য, শান্তির প্রচার, সহিষ্ণুতা, বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রচার এবং নারী-পুরুষ, সক্ষম-অক্ষম নির্বিশেষে সমাজের সবার অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সংগঠনটি।


সর্বশেষ সংবাদ