গবেষণার জন্য অনুকূল পরিবেশ ও অর্থ দিতে আমরা সমর্থ হই না: ঢাবি ভিসি

বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান
বক্তব্য রাখছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান

বিভিন্ন সময় আমরা প্রশ্নের সম্মুখীন হই যে এখানে মৌলিক গবেষণার ঘাটতি কতটুকু, একই সঙ্গে এটিও সত্য, ভালো গবেষণার জন্য যে ধরনের অনুকূল পরিবেশ ও অর্থায়ন প্রয়োজন তাও আমরা যথার্থভাবে করতে সমর্থ হই না। অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান রচিত 'বেঙ্গল এশিয়াটিক সোসাইটি ১৯৫২-২০২৩' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান এসব মন্তব্য করেন। 

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে ইতিবৃত্ত প্রকাশন এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আরও বলেন, 'বইটির আধেয় পাঠকের কাছে এর আবেদন টিকিয়ে রাখবে। কোন বিষয়ে প্রাথমিক কাজ হলে তার আলোচনা ও সমালোচনার অনেক সুযোগ থাকে। তবে একাডেমিক অঙ্গনে এর একটি গুরুত্বও থাকে। এটির বিভিন্ন অংশ পরবর্তী গবেষকদের অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু হবে।'

আরও পড়ুনঃ কুবির সাংবাদিক ইকবালকে ফের ডেকেছে তদন্ত কমিটি

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, 'আমরা কোন গ্রন্থ বিবেচনা করতে গেলে এর গবেষণামূল্য, লেখকের মেধা, কাজের প্রতি তার দায়বদ্ধতা বিবেচনা করি। অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান তার জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই গবেষণাটি করেছেন। আমরা অনেকসময় দায়বদ্ধতার জায়গা উপেক্ষা করে হালকা বিষয় নিয়ে লিখি। গবেষণায় সিদ্দিকুর রহমান আমাদের পথ দেখালেন।'

গ্রন্থের লেখক ও বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ৭০ দশকে জাতির জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাকাজ সম্পাদন করেছে। এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাপিডিয়া, মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশের সংস্কৃতির সমীক্ষামালাসহ ২৫০টির বেশি গ্রন্থ প্রকাশের পাশাপাশি অনেক মৌলিক গবেষণাগ্রন্থ সম্পাদনা করেছে। কিন্তু এর নিজস্ব ইতিহাস নিয়ে কোন গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি। এশিয়াটিক সোসাইটির সাথে যুক্ত হওয়ার পর আমি অনুভব করলাম এশিয়াটিক সোসাইটির একটি ইতিহাস রচনা করা দরকার। সে দায়বদ্ধতা থেকে আমি কাজটি করার সাহস করি। আশা করি ভবিষ্যতে আরও পূর্ণাঙ্গ কাজ হবে।'

আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ আরও বলেন, 'বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি' বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে অনেক মৌলিক গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছে। ৭০ দশকের সাফল্যময় অগ্রযাত্রায় এশিয়াটিক সোসাইটি জাতির জন্য অনেক মৌলিক গবেষণা কাজ সম্পাদন করেছে। তবে দুঃখের বিষয়, এখনো এর পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছায়নি। 

এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, কাউন্সিল সদস্য ড. আহমেদ আব্দুল্লাহ জামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল বাছিরসহ প্রমুখ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence