চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে তালা দিয়ে বিক্ষোভ ছাত্রলীগের
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০২:২১ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ০৩:২২ PM
খাবারের মান বৃদ্ধি, পানি সংকট সহ ১২ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সোহরাওয়ার্দী হলে তালা দিয়েছে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতাকর্মীরা। আজ সোমবার (২৮ আগস্ট) দুপুর বারোটায় তারা হলের প্রশাসনিক কক্ষে তালা দিয়ে ও হলের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন।
এসময় দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরণের আশ্বাস দিলে দুপুর একটার দিকে আন্দোলনকারীরা তালা খুলে দেন।
হলের অনেক রুমে খাট, টেবিল, চেয়ার ও আলমারির সংকটের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া, দীর্ঘদিন ধরে চলা হলের রাস্তার সংস্কার কর্মকাণ্ডের দ্রুত সমাপ্তি, ডাইনিং এবং ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের বাজে অবস্থা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে মান বৃদ্ধি করা, হলে পর্যাপ্ত সুপীয় পানির সংকট দূর করা, নিরবিচ্ছিন্ন ওয়াইফাই সংযোগের ব্যবস্থা করা, হলের ওয়াশরুমের সমস্যার দ্রুত সমাধান করা, সোহরাওয়ার্দী হলের মাঠের সংস্কার এবং দ্রুত খেলাধুলার সরঞ্জামের অপ্রতুলতা নিরসন করা, শিক্ষার্থীদের চলাচলের নিরাপত্তার জন্য হলের সামনের রাস্তায় স্পীড ব্রেকারের ব্যবস্থা করাসহ ১২ দফা দাবি আদায়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা।
শাখা ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আফ্রিদি রহমান নিটো বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা আমাদের সমস্যার কথা বলে আসছি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য হলেও শিক্ষার্থীদের কোনো কিছুই পূরণ করা হচ্ছে না। ডাইনিং, ক্যাফেটেরিয়ার অবস্থা এতই খারাপ যে সেখানে খাওয়াই যায় না। এছাড়া আমাদের রিডিং রুম, কমন রুম কোথাও আসবাব পত্র নেই। অল্প বৃষ্টিতেই হলের সামনে পানি জমে থাকে। এতে করে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরাও বিপদে পড়ি। এজন্য প্রশাসনকে আমাদের দাবিগুলো পূরণের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মুননতাসীর সিয়াম বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি দাবি যোক্তিক। হলের সামনের মোড়টা তিন রাস্তার মোড় কিন্তু এখানে কোনো স্পিড ব্রেকার নাই। এতে করে শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি থাকে সবসময়। হল কর্তৃপক্ষ বারবার আমাদের মৌলিক দাবিগুলো পূরণে ব্যর্থ হচ্ছে। এছাড়া খাবার অত্যন্ত নিম্নমানের। অপরিষ্কার ওয়াশরুমেও যাওয়া যায় না। তাই আমাদের দাবিগুলো পূরণ করা এখন সময়ের দাবি।
এসব বিষয়ে চবি প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে ১২ টি দাবি পেয়েছি। তার মধ্যে সুপেয় পানির সমস্যা, রাস্তা সংস্কার, ডাইনিং এ খাবার সমস্যা, ওয়াশরুমের সমস্যা, রিডিং রুম, চেয়ার টেবিল, ওয়াইফাই এর সমস্যার কথা তারা বলেছে। আমি তাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই যতদ্রুত সম্ভব প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সমস্যা গুলোর সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে। আমি তাদেরকে লিখিতভাবে সমস্যাগুলো জানাতে বলেছি। কোথায় লিখে জানাতে হবে সেই দিকনির্দেশনাও আমি তাদের দিয়েছি। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে ইনশাআল্লাহ।