রাবিতে আসন কমানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩, ১২:৪৮ PM , আপডেট: ২১ আগস্ট ২০২৫, ১০:৫৭ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) স্নাতক ১ম বর্ষে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগে ৯০টি আসন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে রাবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে সংগঠনটির আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল এবং সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
আসন কমানোর সিদ্ধান্ত শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণকে শক্তিশালী করবে উল্লেখ করে বিবৃতিতে তারা বলেন, উচ্চশিক্ষার সংকোচনের মাধ্যমে সর্বজনীন শিক্ষার অধিকার বিরোধী অবস্থান নিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। বাংলাদেশে শিক্ষার্থী অনুপাতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ অনেক কম। এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নতুন করে বহু শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে বাধ্য করা হবে।
প্রশাসন আসন কমিয়ে শিক্ষার মান উন্নয়নের আড়ালে ইউজিসির কৌশলপত্র বাস্তবায়ন করছে মন্তব্য করে তারা বলেন, সাম্রাজ্যবাদী প্রতিষ্ঠান বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে ইউজিসির কৌশল পত্র এদেশের উচ্চশিক্ষা ধ্বংসের নীল নকশা। যার আওতায় প্রতিনিয়ত বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষার ব্যয় বৃদ্ধি, আসন সংকোচন, বরাদ্দ কমিয়ে আনা, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে বাণিজ্যিক রূপ প্রদান সহ উচ্চশিক্ষার দর্শন গত জায়গা থেকে সরে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, প্রশাসন ঢাল হিসেবে হলগুলোতে আবাসন সংকটকে উল্লেখ করেছে। অথচ হলগুলোতে ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের দখলদারিত্ব ও সিট বাণিজ্য দমনে প্রশাসনকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। বরং তাদের প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা নিয়েই ক্যাম্পাসে এ ধরনের অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। যা প্রমাণ করে শিক্ষার্থীদের যন্ত্রণা লাঘবে এই মুহুর্তে প্রশাসনের কোনো ভাবনা নেই।"
আরও পড়ুন: ৯০টি আসন কমিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় উপকরণ নিশ্চিতকরণ কেবলমাত্র বরাদ্দ বাড়িয়ে অবকাঠামো নির্মাণের মাধ্যমে সম্ভব। শিক্ষা সংকোচন কোনক্রমেই এ সমস্যার সমাধান হতে পারেনা।
১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৮৩-এর ছাত্র প্রতিরোধে ইতিহাসকে বিবৃতিতে তুলে ধরে বলেন, অতীতে শিক্ষার্থীরা বারবার আন্দোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের শিক্ষা সংকোচনের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। বর্তমানের সূক্ষ্ম ও কৌশলী ষড়যন্ত্রও ছাত্ররা রুখে দিবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে সিট কমানোর গনবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।