ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ-এ
রাবিতে এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি, পাবেন ফেলোশিপও
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৪ AM , আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৪ AM
২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ স্টাডিজ (আইবিএস)-এ এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
আবেদন করতে পারবেন যারা: কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও বাণিজ্য অনুষদের যে কোনো বিষয়; পরিসংখ্যান, জনবিজ্ঞান ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, মনোবিজ্ঞান, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা; এবং বাংলাদেশের জীবন, সমাজ, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও উন্নয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত যে কোনো বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন । ভর্তিপ্রাপ্ত গবেষকগণ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক ফেলোশিপ, আবাসিক ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন ।
ভর্তির যোগ্যতা:
ক) এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে
১। প্রার্থীর অবশ্যই এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে যে কোনো একটিতে প্রথম বিভাগ অন্যটিতে ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষায় প্রতিটিতে ৪র্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।
২। কলা/আইন/সামাজিক বিজ্ঞান/চারুকলা অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্র্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনাতন পদ্ধতিতে যে কোনো একটি ন্যূনতম ৫৫% ও অন্যটিতে ৫০% নম্বর থাকতে হবে অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪.০০ স্কেলের মধ্যে উভয় পরীক্ষায় সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে।
কলা অনুষদভুক্ত ইংরেজি বিভাগ থেকে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে অথবা সিজিপিএ পদ্ধতিতে একটি ন্যূনতম ৩.২৫ ও অন্যটিতে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে।
অথবা
বিজ্ঞান/বিজনেস স্টাডিজ/জীব বিজ্ঞান/ ভূ-বিজ্ঞান/কৃষি/প্রকৌশল/ ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স/ফিশারীজ অনুষদভুক্ত বিভাগসমূহ থেকে উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে স্নাতক/ স্নাতক (সম্মান)/সমমান এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সনাতন পদ্ধতিতে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫% নম্বর থাকতে হবে অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪ স্কেলের মধ্যে উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.২৫ থাকতে হবে।
অথবা
এমবিবিএস/বিডিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৬০% নম্বর থাকতে হবে। ডিভিএম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ন্যূনতম ৬০% নম্বর অথবা গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৪ স্কেলের মধ্যে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: এনাম নার্সিং কলেজে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি।
অথবা
৩। যে সকল প্রার্থীর উপরে বর্ণিত (১) অথবা (২)-এর স্নাতক/স্নাতক (সম্মান)/সমমান ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাগত যোগ্যতার কোনো (পৃথক পৃথকভাবে) একটি শর্ত পূরণ হয় না, তাঁরা এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন, যদি তাদের
(ক) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে/ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত)/ সরকারি কলেজে ৩ (তিন) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;
অথবা
(খ) স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজের স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৩ (তিন) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;
অথবা
(গ) কোনো স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৩ (তিন) বছরের গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা এবং সেই সাথে কোনো স্বীকৃত পীয়ার রিভিউড জার্নালে বিষয় ভিত্তিক ন্যূনতম ২টি গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত থাকতে হবে।
(ঘ) বিদেশী প্রার্থী/বিদেশী ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজ দেশে/বাংলাদেশ ভিন্ন অন্য কোন দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে;
(ঙ) উপ-ধারা ৩ (ক), (খ), (গ) ও (ঘ) বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীদের শিক্ষা জীবনে কোনো পর্যায়েই ২য় বিভাগ/শ্রেণি/সিজিপিএ ৩.০০ এর কম থাকলে তিনি ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। এই উপধারার অধীনে এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির অনুমতিপ্রাপ্ত প্রার্থীগণ পিএইচডি প্রোগ্রামে স্থানান্তরিত হতে পারবেন না।
খ) পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির ক্ষেত্রে
১। প্রার্থীর এমফিল বিধির (১) ও (২)-এর ভর্তির যোগ্যতাসহ অবশ্যই এমফিল/সমমান ডিগ্রি থাকতে হবে।
অথবা
২। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ এবং এমফিল/সমমানের ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিদেশী প্রার্থীগণ পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সরাসরি প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
অথবা
৩। প্রার্থীর যদি এমফিল বিধির ৫ ধারার বর্ণিত ভর্তির যোগ্যতা থাকে এবং তিনি যদি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন/ যে কোনো সরকারি বৃত্তি/বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস ফেলোশিপ/আন্তর্জাতিক বৃত্তি/গবেষণা অনুদান অর্জন করে থাকেন, তাহলে তিনি পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
অথবা
৪। এমফিল বিধির ৫ ধারার উপধারা (১) ও (২)-এর ভর্তির যোগ্যতাসহ-
(ক) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত)/সরকারি কলেজে ৭ (সাত) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;
অথবা
(খ) স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের বেসরকারি ডিগ্রি কলেজে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ৭ (সাত) বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা;
অথবা
(গ) কোনো স্বীকৃত গবেষণা প্রতিষ্ঠানে ৭ (সাত) বছরের গবেষণা কাজের অভিজ্ঞতা এবং সেই সাথে স্বীকৃত পিয়ার রিভিউড জার্নালে ন্যূনতম ৩ (তিনটি) গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হযে থাকলে;
অথবা
(ঘ) বিদেশী প্রার্থী/বিদেশী ডিগ্রিপ্রাপ্ত প্রার্থীর ক্ষেত্রে নিজ দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানে গবেষণার অভিজ্ঞতা থাকলে এবং সেই সাথে কোনো স্বীকৃত পিয়ার রিভিউড জার্নালে ন্যূনতম ৩ (তিনটি) গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়ে থাকলে প্রার্থী পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির প্রাথমিক আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন।
(ঙ) উপ-ধারা ৪ এর সকল ক্ষেত্রে বর্ণিত যোগ্যতাসম্পন্ন আবেদনকারীগণের শিক্ষা জীবনে কোনো পর্যায়েই ২য় বিভাগ/শ্রেণি/সিজিপিএ ৩.০০ এর কম থাকলে তিনি ভর্তির জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।
৬. এমফিল ফেলোদের ক্ষেত্রে ১ (এক) বছরের ডেপুটেশন/শিক্ষাছুটি এবং পিএইচডি ফেলোদের ক্ষেত্রে ২ (দুই) বছরের ডেপুটেশন/শিক্ষাছুটি বাধ্যতামূলক।
৭. ভর্তিপ্রাপ্ত এমফিল/পিএইচডি ফেলোদের এক বছর মেয়াদি কোর্সওয়ার্কে অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। তবে যারা এ ইনস্টিটিউট থেকে গত ১০ বছরের মধ্যে এমফিল ডিগ্রি অর্জন এবং কোর্সওয়ার্ক সম্পন্ন করেছেন তাঁদের এ কোর্সওয়ার্ক করতে হবে না।
৮. গবেষককে এক বছর কোর্সওয়ার্ক সম্পন্ন করতে হবে। কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গবেষককে কমপক্ষে ৭০% ক্লাস উপস্থিতি এবং ৬০% সেমিনার উপস্থিতি থাকতে হবে।
৯. যারা এমফিল প্রোগ্রাম থেকে পিএইচডি প্রোগ্রামে স্থানান্তরিত হতে আগ্রহী, এমফিল প্রোগ্রামের সন্তোষজনক অগ্রগতি এবং কোর্সওয়ার্কে ৩.০ গ্রেড প্রাপ্তিসাপেক্ষে তাঁরা পিএইচডি প্রোগ্রামে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এমফিল থেকে পিএইচডি প্রোগ্রামে স্থানান্তরের পর গবেষককে পিএইচডি প্রোগ্রামে কমপক্ষে ১ (এক) বছর থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে ভর্তি ছয় ইউনিটে, জানানো হলো ৫ নম্বর কাটার নিয়ম।
১০. থিসিস জমাদানের সময়ে এমফিল গবেষকগণ থিসিসের সারসংক্ষেপসহ গবেষণা কাজের উপর কোনো স্বীকৃত জার্নালে ন্যূনতম ১টি গবেষণা প্রবন্ধের কপি এবং পিএইচডি গবেষকগণ সারসংক্ষেপসহ গবেষণা কাজের উপর কোনো স্বীকৃত জার্নালে ন্যূনতম ২টি গবেষণা প্রবন্ধের কপি জমা দেবেন।
১১. যে সকল ফেলো এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হবেন এবং কোর্সওয়ার্ক করবেন কম্প্রিহেনসিভ পরীক্ষার পর এমফিল-এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ (তিন) মাস ও পিএইচডি-এর ক্ষেত্রে ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে তাঁদের গবেষণা প্রস্তাব দাখিল, সেমিনার প্রদান ও নিবন্ধীকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
প্রাথমিক আবেদনপত্র সংগ্রহ: আগ্রহীরা এই ওয়েবসাইট থেকে https://www.ru.ac.bd/ibs/ আবেদনফরম ডাউনলোড করতে পারবে অথবা ২০/- টাকার ডাকটিকিট সংযুক্ত নিজ ঠিকানা সংবলিত খাম সচিব, আইবিএস, রাবি বরাবর পাঠিয়ে ডাকযোগে সংগ্রহ করা যাবে।
আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ: ১১ মে ২০২৩।
ভর্তি পরীক্ষা: এমফিল/ পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের জন্য ৩ জুন ২০২৩ তারিখে লিখিত পরীক্ষা এবং লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীগণের মৌখিক পরীক্ষা ১০ জুন ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।
আবেদনকারী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ১০ জুন ২০২৩ তারিখে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। এমফিল ও পিএইচডি মিলে মোট ৩০ জন প্রার্থীকে মনোনীত করা হবে। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত প্রার্থীকে সকল প্রকার মূল সনদপত্র দেখিয়ে ভর্তি হতে হবে।