বাস কমেছে রাবির, ট্রিপ আট থেকে নেমে তিনে
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৪ AM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:০৪ AM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাসগুলো আগে আটটি ট্রিপে চলতো। সেখানে এখন ১৪টি রুটে মাত্র তিনটি ট্রিপে চলছে। এর সঙ্গে কমেছে বাসের সংখ্যাও। ৩৯টি থেকে বাস সংখ্যা এখন৩০টি। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক চালক না থাকায় এসব রোডে চলাচল করছে মাত্র ২২টি বাস। ফলে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে, সময়ও নষ্ট হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৪টি রুটের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯টি বাসের ট্রিপ সংখ্যা ছিলো আটটি। পরে তিনটি ট্রিপ কমিয়ে পাঁচ ট্রিপে চলতে দেখা যায় ২৭টি বাসকে। পরে আরও একটি ট্রিপ কমিয়ে চারটি করা হয়। এদিকে সরকার ঘোষিত জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য আরও দু’টি ট্রিপ কমিয়ে দু’টিতে চলতো এসব পরিবহন। শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে একটি ট্রিপ বাড়িয়ে তিনট্রিপে চলছে বাসগুলো।
পরিবহন দপ্তর সূত্রে পাওয়া তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় বাসস্ট্যান্ড থেকে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে প্রথম বাস ছেড়ে যায়। দ্বিতীয় রুট দুপুর ১টা ১০মিনিট ও তৃতীয় রুট বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে ছাত্র-ছাত্রীদের বাসগুলো নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। অন্যদিকে, ক্যাম্পাস থেকে ৮টা ৫ মিনিটে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো নির্দিষ্ট স্টপেজগুলো থেকে ৮টা ৩৫ মিনিটে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ১টা ১০মিনিটের বাসগুলো ১টা ৩০ মিনিটে ও বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটের বাসগুলো ৪টা ৩৫ মিনিটে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সচল বাস রয়েছে ৩০টি, বিপরীতে চালক ২২ জন। চালক সংকটের কারণে ১৪ রুটে চলছে এসব বাস। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, সকাল ১০টার দিকে বিভিন্ন বিভাগের ক্লাস শুরু হয়। ৮টা ৩৫ মিনিটে ক্যাম্পাসের বাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন অনেক শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে দেড় ঘন্টা অপেক্ষা করে তাদের ক্লাস শুরু করতে হয়। ১১ টায়ও ক্লাস থাকে অনেক শিক্ষার্থীর। বছরে একজন শিক্ষার্থী ৩৬০ টাকা পরিবহন ভাড়া দিচ্ছে। কিন্তু পরিবহনের সঠিক সুযোগ- সুবিধা পাচ্ছে না বলে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ।
আরো পড়ুন: জবি শিক্ষক সমিতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ হোসেন বলেন, ২০১৬ সাল বা তারও আগে বাসের ট্রিপ সংখ্যা ছিল আটটি। কিন্তু শিক্ষার্থী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও ট্রিপ কমিয়ে তিনটি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জ্বালানি তেলের দাম ও বৈশ্বিক রাজনীতির অজুহাত দেখাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা না করে যদি জ্বালানি তেলের সাশ্রয় করার চিন্তা ক,রে তাহলে পরিবহন দপ্তর বন্ধ করে দেয়াই ভালো।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কমে আসছে বাসের ট্রিপ। একজন শিক্ষার্থীর কাছে সময়ের মূল্য অনেক। দিনদিন ট্রিপ সংখ্যা কমিয়ে শিক্ষার্থীদের সময় এভাবে নষ্ট করা মোটেও ঠিক হচ্ছে না। বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাশ্রয় করতে চাইলে বিভাগের এসিগুলো ফুলটাইম বন্ধ রাখলেই পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক মোকছিদুল হক বলেন, পূর্বে প্রশাসন থেকে পরিবহন দপ্তরে জন্য যে পরিমাণ বাজেট বরাদ্দ থাকতো এখনো তাই আছে। এ বাজেট দিয়ে যে পরিমাণ জ্বালানি তেল কেনা যেতো সেটা এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। কারণ জ্বালানি তেলের মূল্য আগের থেকে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বাসের ট্রিপ বাড়ানোর জন্য আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি, আবেদন জমা দিয়েছি। আগামী জানুয়ারি মাস থেকে বাসের চারটি ট্রিপ চালু হতে পারে বলে জানান তিনি।