রাবির পরীক্ষায় ফেল, তবুও ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন ৬০ জন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪৭ AM , আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২২, ১২:০৮ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন ৬০ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ন্যূনতম নম্বর পেতেও ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৬০ জন সন্তানকে ফেল করলেও ওয়ার্ড কোটায় ভর্তির দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার (৬ নভেম্বর) রাতে ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এ সভা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে। সভায় তাদের জন্য পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
প্রদীপ কুমার পান্ডে বলেন, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ন্যূনতম ৩০ নম্বর প্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানরা ওয়ার্ড কোটায় ভর্তি হতে পারবেন। তাদের জন্য মোট আসনের ৫ শতাংশ শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত।
জানা গেছে, রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর পেয়ে পাস করতে না পারায় পোষ্য কোটার আসন ফাঁকা রয়েছে। সে জন্য পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাস নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়। ‘সি’ ইউনিটে আবশ্যিকে ২৫ ও ঐচ্ছিকে ১০ নম্বর পাওয়ার শর্ত পূরণ করতে পারেননি এমন পোষ্য কোটার শিক্ষার্থীদেরও ভর্তি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
আরো পড়ুন: রাবির ভর্তি পরীক্ষায় ‘ফেল’ করা শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে তোড়জোড়
গত ২৪ অক্টোবর রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে ভর্তি উপকমিটির একটি সভায় বেশির ভাগ সদস্য এতে অসম্মতি জানালে প্রস্তাবটি সভায় পাস হয়নি। তবে রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে কোটাসহ চার হাজার ৬৪১টি আসনের বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন দেড় লাখের বেশি শিক্ষার্থী। ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ন্যূনতম পাস নম্বর ছিল ৪০। ওয়ার্ড কোটায় মূল আসনের ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পান। শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীর সন্তানরা এ সুযোগ পান।
যদিও এমন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কুদরত-ই-জাহান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই পদ্ধতি কখনো গ্রহণযোগ্য নয়, কাম্যও নয়। শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। তার নিচে এসে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা ঠিক নয়। বেশির ভাগ শিক্ষকই এই পদ্ধতির বিপক্ষে। কারণ এটা নিয়ে বারবার সমালোচনা ও বিতর্ক হয়।