রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০০ শিক্ষার্থীর নামে মামলা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৪২ PM , আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২, ০৭:৪২ PM
শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকের অবহেলার অভিযোগ এনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছে কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় এ মামলার আবেদন করেন বলে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে ছোট একটি এজাহার পাওয়া গেছে। সেটি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।
এদিকে, লিখিত এই এজাহারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেছে, হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কতিপয় উচ্ছশৃঙ্খল ছাত্রের নেতৃত্বে ৩ শতাধিক ছাত্র হাসপাতালে হামলা চালায়। তারা চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ও প্রশাসনিক ব্লকসহ বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালা এবং হাসপাতালের বারান্দায় রক্ষিত ফুলের টবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ভাঙচুর করেন।
চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য কর্মচারীদের গালিগালাজ, লাঞ্ছিত ও মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। তারা সরকারি কাজে বাধা দান এবং সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করেন।
এর আগে বুধবার রাত ৮টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের চারতলার ছাদ থেকে পড়ে আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র শাহরিয়ার। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রাত ৯টার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে শাহরিয়ারের বন্ধুরা অভিযোগ করেন, পৌনে এক ঘণ্টা হাসপাতালে থাকলেও তাকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।
ওই অভিযোগ তুলে তারা হাসপাতালে ভাঙচুর শুরু করেন এবং দুই চিকিৎসককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে হাসপাতালের আনসার সদস্য ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন।
এ ঘটনায় মামলার আবেদনের ব্যাপারে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানি বলেন, “যেহেতু হাসপাতালে হামলা হয়েছে এবং ভাঙচুর করা হয় তাই পরবর্তী সময়ের নিরাপত্তার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে একটি মামলার আবেদন করে রাখা হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র কিভাবে মারা গেছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ছাড়া ময়নাতদন্ত ছাড়াই তারা লাশ নিয়ে গেছে।“