সাংস্কৃতিক চর্চা ছাড়া মানবিক মানুষ হওয়া যায় না: ঢাবি ভিসি

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয উপাচার্য
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয উপাচার্য  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, সাংস্কৃতিক চর্চা ছাড়া উদারনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠা যায় না। মানবিক সমাজ বিনির্মাণে সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্যে সংগীতের ভূমিকা অনন্য।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ আয়োজিত দু’দিনব্যাপী ‘সংগীত উৎসব ২০২২’-এর উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবছর উৎসবের প্রতিপাদ্য হলো ‘শতবর্ষের আলোয় সংগীত’।

সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রসাদ দাঁ-এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা। সূচনা সংগীতের সঙ্গে অতিথিবৃন্দের প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের।

এই উৎসবে বাংলা গানে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রখ্যাত সংগীত শিল্পী ফেরদৌসী রহমান এবং অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে গুণীজন সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়া, পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করায় বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের ৪জন শিক্ষার্থীকে ‘নীলুফার ইয়াসমীন স্মারক বৃত্তি’ এবং  ‘মো. শহিদুল ইসলাম স্মারক বৃত্তি’ প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন: স্বপ্ন দেখতে হবে, বললেন মাইক্রোসফটে চাকরি পাওয়া খুবির খালেদ

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সম্মাননা প্রাপ্ত ২গুণী শিল্পীকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, নিয়মিতভাবে সংগীত চর্চা ও গবেষণার পাশাপাশি এই উৎসব আয়োজন ও সমাজের গুণী মানুষদের সম্মাননা প্রদান করে সংগীত বিভাগ অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলছে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, প্রতিবারই এই উৎসব সংগীতপ্রেমী, শুভানুধ্যায়ী ও সংস্কৃতিমনা মানুষদের মিলনমেলায় পরিণত হয়। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী ও সংগীত শিল্পীদের অনুপ্রেরণা দিতে এবং দেশের সংস্কৃতির বিকাশে এই উৎসব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। নিয়মিতভাবে উৎসব আয়োজন ও সংগীত চর্চার মাধ্যমে দেশের সংগীতাঙ্গনকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে উপাচার্য বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

উদ্বোধনী আয়োজনে শাস্ত্রীয় সংগীত, রবীন্দ্র সংগীত, নজরুল সংগীত, লোক সংগীত ও তবলার মিলিত পরিবেশনা করা হয়। এছাড়া, সংগীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। বিভাগের শিক্ষক ও আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে বাংলা গানে পাঁচ গীতিকবির গান, আধুনিক গান, লোক গানসহ বাংলা গানের নানা বিষয়ের পরিবেশনায় মৌলিকত্বের পাশাপাশি নতুনত্ব ও পরীক্ষণ এবারের উৎসবের মূল আকর্ষণ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence