একই সম্মানী পাবেন সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২২, ১২:২২ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২২, ১২:২২ PM
সকল সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের এক ও অভিন্ন ভাতা এবং সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছ। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর্থিক অনিয়ম রোধ, স্বচ্ছতা-জবাবদিহি নিশ্চিত করা ও ব্যয়ের সমতা আনার লক্ষ্যে ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল’ নামে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষকদের পরীক্ষার হলে দায়িত্ব পালন, খাতা মূল্যায়ন, সিন্ডিকেট সদস্যসহ সব কমিটির সদস্যদের সম্মানী কত হবে তা নির্দিষ্ট থাকবে।
খসড়া নীতিমালায় দেখা গেছে, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক ব্যবস্থাপনার সাধারণ নীতিমালা হিসেবে এটিকে চিহ্নিত করা হবে।নীতিমালায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও সেমিস্টার পরীক্ষায় দুই ঘণ্টায় শিক্ষকদের সম্মানী ৮শ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৬শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চার বছরের অনার্স সম্মান কোর্সের ক্ষেত্রে দুই ঘণ্টার পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ৬০ টাকা, তিন ঘণ্টার ক্ষেত্রে ৮০ টাকা, চার ঘণ্টার ক্ষেত্রে প্রস্তাব করা হয়েছে ১০০ টাকা। এক বছরের মাস্টার্স কোর্সের দুই ঘণ্টার পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে ৭০ টাকা, তিন ঘণ্টার জন্য ১০০ ও চার ঘণ্টার পরীক্ষার খাতার জন্য ১২০ টাকা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্যদের সম্মানী চার হাজার থেকে বাড়িয়ে চার হাজার পাঁচশ টাকা নির্ধারণ করেছে ইউজিসি।
এর বাইরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনারিয়াম (বিশেষ কাজের ভাতা), পাবলিক প্রকিউরমেন্ট নীতিমালা তৈরি, অগ্রিম আদায় পদ্ধতি, উন্নয়ন কাজের ব্যয় সমন্বয়, সব সভা ও কমিটির সম্মানী নির্ধারণ করা হয়েছে এই নীতিমালায়।
আরো পড়ুন: ছাত্রলীগ আমাকে এ শিক্ষা দেয়নি, আমি ক্ষমাপ্রার্থী: রিভা
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। আর্থিক শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে গত বছরের জুনে ইউজিসির ৪১তম মাসিক সভায় একটি নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। এর আলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা ও হিসাব ম্যানুয়াল তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালার খসড়া চূড়ান্ত করে সেটি পাঠানো হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।
তিনি আরো বলেন, আর্থিক অভিন্ন নীতিমালা বাস্তবায়নের ফলে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক অনিয়ম রোধ, অর্থের অপচয় বন্ধ, বরাদ্দ অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার, আর্থিক শৃঙ্খলা ও অর্থ ব্যয়ের জবাবদিহি নিশ্চিত করাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক প্রশাসনে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা আনয়নে অনেকাংশে সহায়ক হবে।
উল্লেখ্য, নীতিমালা প্রণয়নে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহেরকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে অন্যদের মধ্যে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালকদের (অর্থ) রাখা হয়েছে। ১১ সদস্যের এ কমিটি চার দফায় সভা করে চূড়ান্ত করেছে নীতিমালার খসড়া।