‘ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন করতে হবে’

ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন করতে হবে
ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানোন্নয়ন করতে হবে  © টিডিসি ফটো

ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবস্থান সুসংহত নয়। ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং-এ ভালো অবস্থানে যেতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্ব-উদ্যোগে আবশ্যিক কিছু তথ্য প্রদান করতে হয়। অনেক সময় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উল্লেখ করার মতো অনেক সাফল্য থাকলেও ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ে স্থান পেতে এসব অর্জনসহ যে সকল তথ্য আবশ্যিকভাবে প্রদান করতে হয় সে সম্পর্কে যথেষ্ঠ ধারণা না থাকায় বাংলাদেশের বিশ্বাবদ্যালয়গুলো র‌্যাংকিং স্থান পাচ্ছে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের এ বিষয়গুলো সম্পর্কে অবহিত করতে হবে।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও টাইমস হায়ার এডুকেশন (টিএইচই)-এর যৌথ উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে আয়োজিত এক ওয়েবিনারে সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর এসব কথা বলেন।

ইউজিসি সদস্য ড. দিল আফরোজা বেগম, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ ও প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন। স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যানিং এন্ড কোয়ালিটি এসিউরেন্স (এসপিকিউএ) বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম ওয়েবিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। টাইমস হায়ার এডুকেশন (টএইচই), এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ও মহাব্যবস্থাপক রিতিন মালহোত্রার সঞ্চালনায় ওয়েবিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এসপিকিউএ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জেসমিন পারভীন। পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেলের পরিচালক ও অতিরিক্ত পরিচালক এবং ইউজিসি’র বিভাগীয় পরিচালকসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ওয়েবিনারে যুক্ত ছিলেন।

সভাপ্রধানের বক্তব্যে প্রফেসর মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, বর্তমানে প্রতিযোগিতামূলক এই বিশ্বে শিক্ষাসহ সকলক্ষেত্রেই সুনামের সাথে টিকে থাকতে মান উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বিগত বছরগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে পাবলিক ও প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় ১৫৯টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৪৩ লক্ষ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে।

এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার দিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সর্বক্ষেত্রে মান উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং-এ স্থান পেতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা, গবেষণা, উদ্ভাবন, শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সাথে যৌথ সহযোগিতামূলক কার্যক্রম ও বিশ্বায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিংয়ের বিভিন্ন শর্ত ও প্যারামিটার সম্পর্কে অবহিত করা গেলে বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাংকিং এ স্থান করে নেয়ার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিত করার মাধ্যমে তাঁরা তা অর্জনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করবেন।

ওয়েবিনারে ইম্প্যাক্ট র‌্যাংকিং বিষয়ে মাস্টারক্লাস পরিচালনা করেন টাইমস হায়ার এডুকেশনের চিফ নলেজ অফিসার ফিল ব্যাটি, এমডি কনসাল্ট্যান্সি এলিজাবেথ শেফার্ড এবং ডাটা এনালিসিস অফিসার হান্নাহ পিকক।


সর্বশেষ সংবাদ