সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শৃঙ্খলার অভাব: ইউজিসি চেয়ারম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৪:১৪ PM , আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৬:১০ PM
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেছেন, দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রতিপালনের অভাব দেখা যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ম অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে এবং বিদ্যমান আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এক্ষেত্রে রেজিস্ট্রারের কাজ হবে সঠিক তথ্য উপাচার্যদের কাছে তুলে ধরা।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের। কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রারবৃন্দ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে দেওয়া বক্তব্যে অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, উচ্চশিক্ষার সার্বিক অগ্রগতি, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি, ফলাফলধর্মী কর্মকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান, কর্মকৃতি মূল্যায়নের লক্ষ্যে ইউজিসি কাজ করে যাচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ইউজিসি দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে রেজিস্ট্রার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন । বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের উচিত দ্রুত স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগ দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, রেজিস্ট্রার বিদ্যমান আইন ও বিধি-বিধান মেনে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় উপাচার্যকে সহযোগিতা করেন। একজন কর্মঠ ও দক্ষ রেজিস্ট্রারের ওপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কিছুই নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে তিনি রেজিস্ট্রাদেরকে সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ প্রদান করেন।
করোনার কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে প্রথম পর্যায়ে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আজ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর বাকি ৩১টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। সরকারি কর্মকাণ্ড স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ১৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট এবং ইউজিসি’র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি প্রতিবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করে আসছে।