ফুলের শহীদ মিনারে মানুষের ভিড়, স্বীকৃতির অপেক্ষা

ফুলেল শহীদমিনার
ফুলেল শহীদমিনার   © সংগৃহীত

একুশে ফেব্রুয়ারিতে ফুলে ফুলে ভরে উঠে শহীদ মিনার। ফুল দিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় সকলে। বাঙালির চেতনার প্রতীক, রাজনৈতিক-সামাজিক-সাংস্কৃতিক জীবনের প্রাণবন্ত সত্তা শহীদ মিনার গড়ে তোলে হয় ইট-বালি দিয়ে। এবার কেবল ফুল দিয়ে ব্যাতিক্রম এক শহীদমিনার তৈরী করেছে ‘ঠিকানা’ রিসোর্ট। ঢাকার গুলশানের বেরাইদে, বালু নদের পাড়ে সেটির অবস্থান। এটি দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে অসংখ্য মানুষ।

কলেজছাত্রী আফরিন মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী টিন-কাঠের তৈরি বাড়ি জাপানি ফুল পিটুনিয়া দিয়ে চমৎকারভাবে সাজিয়ে তুলেছিলেন রিসোর্ট ‘ঠিকানা’। এবার ঠিকানাতে তৈরি করেছেন ফুলের বিশাল এক দেয়াল। আর সে দেয়ালে ফুল দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন আমাদের অহংকার, ভাষা আন্দোলনের গৌরবচিহ্ন শহীদ মিনার।

দূর থেকে দেখে মনে হবে সারি সারি রংবেরঙের ফুল সাজানো, যেন চারপাশ রঙিন করে ফুলের মেলা বসেছে। কিন্তু কাছে গেলেই বুঝা যায়। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কৃতজ্ঞচিত্তে ভাষাশহীদদের স্মরণ করতে বানানো হয়েছে ফুলের এই শহীদবেদি।

জাপানি ফুল পিটুনিয়া দিয়ে বানানো শহীদ মিনারের প্রতিকৃতিটির দৈর্ঘ্য ২২০ ফুট ও প্রস্থ ৩৪ ফুট। কাঠ ও বাঁশের কাঠামোর ওপর শহীদ মিনারটি বানাতে ১২ হাজার টব ব্যবহার করা হয়েছে। একেকটি টবে সাদা-লাল-নীলসহ নানান রঙের পিটুনিয়া ফুল রয়েছে। একেকটি টবে রয়েছে প্রায় ২০টি করে ফুল।

আরও পড়ুন: হিজাব বিতর্কের মধ্যে কর্ণাটকে খুন, ফের বন্ধ স্কুল-কলেজ

শহীদ মিনার বানানোর মূল পরিকল্পনাকারী আফরিন তাইয়্যেবা আলিফ। বেসরকারি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ শিক্ষার্থী পেশায় তরুণ উদ্যোক্তা। পছন্দ করেন প্রকৃতি নিয়ে কাজ করতে। আফরিন তাইয়্যেবা প্রথম আলোকে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত কিছু একটা বানাতে চেয়েছিলাম। এ ভাবনা থেকেই ফুল দিয়ে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতি বানানোর চিন্তা মাথায় আসে।’

আফরিনের দাবি, এটিই এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় ফুলেল শহীদ মিনার। আর এ দৃষ্টান্ত গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে যুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন করেছেন তিনি।

গত বছর পর্যন্ত ফুল দিয়ে সাজানো ঠিকানায় বিনা মূল্যে প্রবেশের সুযোগ ছিল। যে কেউ এখানে এসে ছবি তুলে সময় কাটাতে পারত। দর্শনার্থীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চলতি বছর ৩০০ টাকা প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এখান থেকে খাবার কিনে খেলে প্রবেশমূল্য দিতে হবে না। বাইরের খাবার সঙ্গে নিয়ে প্রবেশের সুযোগ নেই।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence