সরিয়ে দেওয়া হলো কারিগরি বোর্ড চেয়ারম্যানকে, গ্রেপ্তারও হতে পারেন
আজ ডিবিতে জিজ্ঞাসাবাদ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৩ AM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩ AM
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আলী আকবর খানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সোমবার (২২ এপ্রিল) তার বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আজ মঙ্গলবার তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এতে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তারও করা হতে পারে।
এর আগে, সনদ বাণিজ্য চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। ডিবি ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করা আলী আকবর খানকে গতকাল চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়েছে। অন্য আদেশে কারিগরি বোর্ডের পরিচালক মামুন উল হককে চেয়ারম্যানের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ।
এদিকে, গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, আকবর খানকে মঙ্গলবার ডিবি অফিসে ডাকা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদ করে সনদ বাণিজ্যে তার সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে গ্রেপ্তার করা হবে। এ ছাড়া এ ঘটনায় আরও যাদের নাম এসেছে পর্যায়ক্রমে সবাইকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
এর আগে গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেপ্তার করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামানকে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে এই জালিয়াতিতে জড়িত অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা এবং দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক আর অধ্যক্ষদের নাম।
ডিবি সূত্র বলছে, শামসুজ্জামানকে জিজ্ঞাসাবাদে আকবর খানের স্ত্রী সেহেলা পারভীনের নাম উঠে আসে। গত শনিবার উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের রাজউক অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
অভিযান পরিচালনাকারী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান বলেন, সনদ বাণিজ্যের নানা প্রক্রিয়ায় শামসুজ্জামানের নাম এসেছে। তার কাছে গ্রাহক নিয়ে আসতেন দেশের আনাচকানাচে গড়ে ওঠা কারিগরি স্কুল ও কলেজের প্রধান শিক্ষক ও অধ্যক্ষরা। তাদের নামের তালিকাও এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের হাতে।