রাকসু জিএসের আচরণকে অভদ্র ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বলল জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম  © সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রারের সঙ্গে রাকসু সাধারণ সম্পাদকের আচরণকে ‘অভদ্র ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। ফোরামের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেন, সালাহউদ্দিন আম্মারের এমন আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পরিবেশকে কলুষিত করছে এবং তার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

বুধবার (১২ নভেম্বর) জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল আলিম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সেদিন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ তার কক্ষে বাইরে থেকে আগত কয়েকজন অতিথির সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন। এ সময় রাকসুর সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আম্মার তার কক্ষে প্রবেশের অনুমতি চান। রেজিস্ট্রার তাকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতে অনুরোধ করেন। একই সময় ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমানও রেজিস্ট্রারের সঙ্গে সাক্ষাতের অপেক্ষায় ছিলেন।

কিন্তু রেজিস্ট্রারের অনুরোধ উপেক্ষা করে সালাহউদ্দিন আম্মার কয়েকজন শিক্ষার্থীসহ জোরপূর্বক কক্ষে প্রবেশ করেন এবং একটি ফাইলসংক্রান্ত বিষয়ে ‘অযৌক্তিক অভিযোগ’ তুলে উচ্চস্বরে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এতে অফিসের পরিবেশ বিঘ্নিত হয়।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের দাবি, প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আম্মার কক্ষে প্রবেশ করে অফিসে ‘মহানগর বিএনপির সভা’ চলছে এমন অভিযোগ তোলেন। কিন্তু ভিডিওতে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীর উপস্থিতি দেখা যায়নি। সেখানে রাজশাহী এনসিপি নেতাদের সঙ্গে রেজিস্ট্রারের মতবিনিময় সভা চলছিল বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচিত রাকসু জিএস হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করা তার এখতিয়ার-বহির্ভূত। নির্বাচিত হওয়ার আগেও তিনি প্রশাসনিক বিষয়ে অনধিকার চর্চা ও শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। তবু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অজ্ঞাত কারণে তার ব্যাপারে নীরব থেকেছে, যা তার ‘দুঃসাহস’ বাড়িয়ে দিয়েছে।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের নেতৃবৃন্দ ঘটনাটিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আম্মারের এই আচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক পরিবেশকে কলুষিত করছে। ফোরাম দ্রুত তার অতীত কর্মকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ ও তাকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে।’ 


সর্বশেষ সংবাদ