ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সাদা দলের বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান ইউটিএলের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:২৩ PM , আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৪ PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সংগ্রামী ঐতিহ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ধর্মীয় মূল্যবোধ ও বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী শিক্ষকগণের সংগঠন সাদা দল ডাকসু নির্বাচন নিয়ে এক হতাশাজনক বিবৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে পাবলিক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল)।
আজ শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ডাকসু ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান সংগঠনটির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউটিএলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলালসহ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে নেতারা বলেন, জুলাই পরবর্তী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাঠামোতে সংগতকারণে সাদা দল নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিভিন্ন অনুষদের ডীন এবং ১৮টি হলের মধ্যে ১৬টি হলের প্রভোস্টগণ সরাসরি সাদা দলের সাথে সম্পৃক্ত। এ ছাড়া ডাকসু নির্বাচনের জন্য গঠিত নির্বাচন কমিশনের ১০জন সদস্যের মধ্যে ৮ জনই সাদা দল ও ২ জন পিংক দলকে প্রতিনিধিত্ব করেন। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়া রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারদের অধিকাংশই সাদা দলের সক্রিয় সদস্য হিসেবে পরিচিত। আমরা প্রশ্ন রাখতে চাই, নির্বাচন পরিচালনার অধিকাংশ দায়িত্ব যখন সাদা দলের শিক্ষকদের হাতে ছিল; তখন নিজেদের বিবৃতিতে দাবি করা নির্বাচনে ‘জালিয়াতি ও অনিয়ম’ প্রসঙ্গটি এটি দ্বিচারিতা ও দ্বিমূখী আচরণের পর্যায়ে পড়েছে। এতে করে বিবৃতি দানকারী শিক্ষকগণের নৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।
শিক্ষকদের সংগঠন হিসেবে ইউটিএল মনে করে, ডাকসু শুধু ছাত্র নেতৃত্বের মঞ্চ নয়, বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক একাডেমিক পরিবেশ, নিরাপত্তা, নীতি ও গণতান্ত্রিক চর্চার সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। তাই শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ থেকেই আমরা ডাকসু নির্বাচনের শুরু থেকে আমাদের মতামত উপস্থাপন, নির্বাচন কমিশন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আশংকা এবং দাবি উপস্থাপন, পরামর্শ প্রদান, নির্বাচনের দিন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি। এ ছাড়া আমরা সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনার স্বার্থে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিবৃতি দিয়েছি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেছি। আমরা চাই একটি শান্তিপূর্ণ নিরাপদ ক্যাম্পাস; যেখানে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীগণ তাদের শিক্ষা ও গবেষণার কাজে কোনো রকমের বাধা ছাড়া মনযোগী থাকবেন।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ১২ দিনের পূর্ব নির্ধারিত সব পরীক্ষা স্থগিত
সংবাদ সম্মেলনে ইউটিএল নেতারা বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখ এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মাধ্যমে আমরা আমাদের আশংকা ও দাবি তুলে ধরেছিলাম। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর ইউটিএলের পক্ষ থেকে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনে দশটি প্রস্তাবনাসহ একটি পত্র জমা দিয়েছিলাম; যেটি আপনারা অবহিত আছেন। ৮ সেপ্টেম্বর তারিখে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণে তিনটি দাবি তুলে ধরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। বিজ্ঞপ্তিটির কপি আমরা নির্বাচন কমিশনে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পৌঁছিয়েছি। নির্বাচনের দিন ইউটিএলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণের মধ্য থেকে আটজন শিক্ষককে আটটি কেন্দ্রে পর্যবেক্ষক হিসেবে রেখেছি।
ইউটিএলের আহ্বায়ক সকল কেন্দ্র পরিদর্শন করে দুপুর ১২টায় কলাভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেছেন। নির্বাচন অনুষ্ঠান, আয়োজন, ফলাফল প্রস্তুত ও নির্বাচনের পরের দিন ১০ সেপ্টেম্বর ফলাফল ঘোষণাসহ সামগ্রিক বিষয়ে ইউটিএল পর্যবেক্ষণ করেছে। ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ছোটখাট কিছু ত্রুটি ছাড়া, নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে কিংবা ভোটারদের প্রভাবিত করতে পারে পুরো নির্বাচনে এমন কোনো ধরণের অনিয়ম, ও দুর্নীতি ইউটিএলের নজরে আসেনি। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আমরা ধন্যবাদ জানিয়েছি। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ঢাবি শিক্ষার্থীগণ তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করেছে। আমরা ইউটিএলর পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীসহ যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন এবং নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন সকলকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছি। পর্যবেক্ষণকারী অন্যান্য সংগঠনও আনুষ্ঠানিক/অনানুষ্ঠানিকভাবে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে মর্মে তাদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেছেন।
আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ার দুই সপ্তাহ পর কিছু ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষকগণের ফোরাম/সংগঠন নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা শুরু করেছেন। কিছু বক্তব্য ও বিবৃতি ইউটিএলের দৃষ্টিগোচর হয়েছে; আমরা মনে করি, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর স্বাধীন রায়কে অসম্মান এবং গণতান্ত্রিক অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার একটি সুপরিকল্পিত প্রয়াস ব্যতীত আর কিছুই নয়। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের মুক্তচিন্তা, ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক অধিকারকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। শিক্ষার্থীদের রায় স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে, তারা ভীতিকর রাজনৈতিক সংস্কৃতি, প্রোপাগান্ডা এবং একদলীয় মানসিকতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সক্ষম।
ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ কে ঘিরে আমরা কয়েকটি পর্যবেক্ষণ ও বিবেচ্য বিষয় তুলে ধরছি; প্রথমত: নির্বাচনকে ঘিরে নানান অপপ্রচারের মাধ্যমে দীর্ঘ ফ্যাসিবাদী শাসনের পর শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণ এবং ভোটদানকে অসম্মান ও তাদের ম্যান্ডেটকে অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে সংঘটিত জুলাই বিপ্লব দীর্ঘ দেড় দশকব্যাপী দমন-পীড়ন, শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তা ও রাজনৈতিক অংশগ্রহণ সীমিত করা, ক্যাম্পাসে কড়াকড়ি এবং রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণের অবসান ঘটায়। জুলাইয়ের শহিদ ও আহতদের আত্মত্যাগের ফলে শিক্ষার্থীরা অবশেষে স্বাধীনভাবে ডাকসুতে ভোট প্রদানের সুযোগ পায়। এটি শুধু ভোট প্রদানের অধিকার নয়; বরং এটি ছিল গণতন্ত্র, স্বতঃস্ফূর্ততা এবং শিক্ষার্থীর রাজনৈতিক সচতনতার এক প্রত্যক্ষ প্রকাশ।
আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো- নির্বাচনের দিনটি ছিল উৎসবমুখর, আনন্দময় এবং শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক চর্চার সজীব উদাহরণ। কেন্দ্রে উপস্থিতি, ব্যালট গ্রহণ ও সার্বিক ক্যাম্পাসের পরিবেশ প্রমাণ করেছে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দায়িত্বশীল, সচেতন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাসী। নির্বাচনের পর দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ, সাবেক ডাকসুর নেতৃবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ, অংশ নেয়া প্রায় সকল প্রার্থী নির্বাচিতদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই শিক্ষার্থীদের কল্যাণ, শিক্ষামূলক উন্নয়ন, সামাজিক সচেতনতা ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এমতবস্থায় দুই সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পর কিছু সংগঠনের উত্থাপিত বায়বীয় অভিযোগমালা শিক্ষার্থীদের স্বাধীন রায়কে অস্বীকার করার নামান্তর। এটি শিক্ষার্থীদের মুক্তচিন্তা, স্বতন্ত্র নেতৃত্ব এবং গণতান্ত্রিক অর্জনের প্রতি এক স্পষ্ট আঘাত।
উল্লেখ্য ইউটিএলের পক্ষ থেকে আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যে, ডাকসু নির্বাচনের দিন ভোটগ্রহণ শুরুর পূর্বে মিডিয়া, গণমাধ্যমকর্মী, পর্যবেক্ষক, পোলিং অফিসার, বিএনসিসি বিবিধ ব্যক্তিবর্গের সামনে ব্যালট বক্স খোলা হয়। বক্সের ভেতর সবাইকে দেখিয়ে, ভেতরে অতিরিক্ত ব্যালট নেই সেটি নিশ্চিত করে, তারপর তা সিলগালা করা হয়। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা অব্দি কোন পক্ষের বা নির্দলীয় কোন ভোটার কর্তৃক কোন ধরনের ভোট জালিয়াতি, কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, ব্যালট বক্স খুলে ফেলা, জোর করে ভোট দেয়া বা সিসিটিভি অয়াকআউটের ঘটনা আমরা জানতে পারিনি। ভোট গণনার পুরো সময়টা সিসিটিভি ফুটেজ স্বচ্ছতার উদ্দেশ্যে লাইভে দেখানো; প্রভোস্ট রিটার্নিং অফিসার, বিএনসিসি, পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিক প্রতিনিধিদের সামনে পূর্ণ ভোটগণনা করা; প্রত্যেকের স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রের সামনেই ফলাফল প্রকাশ করা নির্বাচনী সচ্ছতার দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছে। অথচ সাদা দল অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ সারা দেশবাসীকে মর্মাহত করেছে।
গণতন্ত্রে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক। এর উপলব্ধি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক সচেতনতা, সহনশীলতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধিতে সহায়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনো দল বা ব্যক্তির প্রতিষ্ঠান নয়; এটি এদেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় পরিচালিত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান। আধিপত্যবাদী চিন্তা শিক্ষার্থীদের স্বাধীন মতপ্রকাশকে সীমিত করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে মুক্তচিন্তার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সকল স্টেকহোল্ডারদের দায়িত্ব হলো গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছ, নিরাপদ ও স্বাধীন রাজনৈতিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করা।
আমরা মনে করি, ভোটারের রায়কে অগ্রাহ্য করে ক্ষমতার জন্য যেকোনো মূল্যে বিজয় পেতে চাওয়ার মনস্তত্ব বিভাজন, দ্বন্ধ এবং রাজনৈতিক সংঘাত সৃষ্টি করে। এটি শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক চর্চাকে দলগত লোভ ও ক্ষমতার লড়াইয়ের দিকে ধাবিত করবে। যা প্রকৃত শিক্ষাগত উন্নয়ন ও মুক্তচিন্তার পরিবেশ ক্ষুণœ করবে। এখানে যে সকল শিক্ষক নির্বাচনের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তাদেরকে সত্য বিষয়গুলো জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের গাইড করা শিক্ষকগণের দায়িত্ব।
এই সামগ্রিক পরিস্থিতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট দাবি/প্রস্তাবনা হলো: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উত্থাপিত অযৌক্তিক প্রশ্নের সুরাহা করতে হবে। শিক্ষার্থীদেরকে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের পর কোনো ধরণের হ্যারেসমেন্ট কিংবা তাদের ম্যান্ডেট কেড়ে নেয়ার মত কর্মকান্ড বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। ঢাবি সাদা দলের শিক্ষকগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে পরিচালিত নির্বাচনকে সাদা দলের প্যাডে বিবৃতি দিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে, যা মোটেই কাম্য নয়। এই ধরণের বিবৃতি প্রত্যাহার করার আহবান জানাই। ২০২৫ সালের ডাকসুনির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ইতোমধ্যে দেশ বিদেশে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। এমন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যেসকল তৎপরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে সেগুলোর বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।
ভিত্তিহীন অভিযোগ কেবল শিক্ষার্থীদের অবমাননা নয়; এটি গণতন্ত্র ও জুলাইয়ের অর্জনকে কলঙ্কিত করে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- শিক্ষার্থীদের রায়কে অসম্মান করার কোনো প্রচেষ্টা সফল হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা, শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং মুক্তচিন্তার চর্চা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। শিক্ষার্থীরা যে গণতান্ত্রিক বিজয় অর্জন করেছেন, তা কার্যকর নেতৃত্বের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বচ্ছ, দায়িত্বশীল ও গণতান্ত্রিক শিক্ষার কেন্দ্র হিসেবে সকলের প্রচেষ্টা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।