নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে ঢাবিতে আলোচনা করতে পারলেন না শিক্ষকরা

প্রতিবাদে আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামের সামনে পোস্টারিং, পরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদী সমাবেশ
প্রতিবাদে আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামের সামনে পোস্টারিং, পরে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে প্রতিবাদী সমাবেশ  © টিডিসি ফটো

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে আলোচনা সভা আয়োজনের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষের বাধায় তা করতে পারেনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। আজ বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০২১: আমরা কেন উদ্বিগ্ন?’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভা হওয়ার কথা ছিল।  

এ ঘটনার পর সেখানেই কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ জানান উপস্থিত শিক্ষকরা। এরপর বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি প্রতিবাদী সমাবেশ করেন তারা।

জানা যায়, আলোচনা সভা শুরুর ৩০ মিনিট আগে যখন সবাই অডিটোরিয়ামের সামনে জড়ো হচ্ছিলেন তখন (দুপুর ১টা ৪৮ মিনিট নাগাদ) কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল বাছির ফোন দিয়ে আলোচনা সভা না করার কথা জানান। ফলে অডিটোরিয়ামের দরজাটি বন্ধ রাখা হয়। এটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয় এবং দরজায় একটি পোস্টার লাগানো হয় যেখানে লেখা ছিলো ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করা চলবে না’ এরপর বেলা ৩টার দিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমাবেশ করেন শিক্ষকবৃন্দ।

এ বিষয়ে আয়োজকদের অন্যতম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজিম উদ্দিন খান বলেন, প্রোগ্রামের জন্য এই অডিটোরিয়ামটি আমাদেরকে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু শুরুর আধা ঘণ্টা আগে আমাকে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছিল ফোন দেন। তিনি বলেছেন, এই ভেন্যুতে আমাদের দেয়া বুকিং ক্যান্সেল করা হয়েছে। আমরা যেন প্রোগ্রামটি না করি।

ঢাবির কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল বাছির এ বিষয়ে বলেন, আলোচনার জন্য তারা আমার কাছে দরখাস্ত দিলে আমি সেটা মঞ্জুরও করেছি। কিন্তু আজ বিভিন্ন মাধ্যমে আমি দুপুর ২টা নাগাদ অবহিত হয়েছি যে তারা যে ধরণের আলোচনা করবে বা বক্তব্য রাখবে সেটা কোনো না কোনোভাবে আমাদের দেশ, সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে আহত করবে।

“যেহেতু আমরা একটি নীতিমালার উপর ভিত্তি করে অডিটোরিয়ামটি বরাদ্দ দেই, নীতিমালায় বলা আছে যে রাষ্ট্র, সরকার বা বিশ্ববিদ্যালয়কে আঘাত করে এমন কোনো গ্রুপকে এটি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না। ফলে আমি আয়োজককে যথারীতি কল দেই এবং এখানে আলোচনাসভা না করে অন্য কোথাও করার জন্য বলি।”

কিন্তু কে বা কাদের থেকে ফোন আসার কারণে আলোচনা সভা শুরুর ৩০ মিনিট আগে তাদেরকে নিষেধ করা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অনেক বিষয় আমরা বলতে পারি না।


সর্বশেষ সংবাদ