ছাত্রলীগ ছাড়া প্রশাসন চালাতে পারবেন?- নেতার হুঙ্কার

শেকৃবির কবি কাজী নজরুল ইসলাম শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসাইন
শেকৃবির কবি কাজী নজরুল ইসলাম শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসাইন  © সংগৃহীত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে পরিদর্শনে বের হয়েছিলেন প্রভোস্টরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ডাইনিংয়ে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে কথাও বলছিলেন। এ সময় সেখানে হাজির হন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সজীব হোসাইন। তাকে না ডাকায় ক্ষুব্দ হয়ে শিক্ষকদের ওপর চড়াও হন এই ছাত্রলীগ নেতা।

সজীব হোসাইন বলেন, হলে এসেছেন আমি জানি না, বিষয়টি কেমন না? প্রক্টর স্যারও হলে আসলে ফোন দেয়। আপনি আমাকে ইনফর্ম করে হলে আসতেন। আমাকে না নিয়ে কেন এখানে ঢুকলেন।’

গত মঙ্গলবার রাতে শেকৃবির কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তাঁকে নিয়ে হলে ঢুকতে হবে কী কারণে, জানতে চেয়ে সহকারী প্রভোস্ট শেখ মো. মাসুম বলেন, ‘আমার বডিতে তুমি কোথায়?’ তখন সজীব বলেন, ‘ছাত্রলীগ কি প্রশাসনের বডি না? উইথআউট ছাত্রলীগ আপনারা কি প্রশাসন চালাতে পারবেন? এরা (অনুসারীরা) যদি ঝামেলা করে, তাহলে আপনি কী করবেন?’

ওই রাতের এমন উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের প্রায় ৯ মিনিটের একটি রেকর্ডিং পেয়েছেন সাংবাদিকরা। ওইদিন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ডাইনিং রুমে মিটিং করেন। এ সময় দুই সহকারী প্রভোস্ট শেখ মো. মাসুম ও মো. শরিফুল ইসলাম সেখানে আসেন। এত রাতে শিক্ষার্থীরা সেখানে  কী করছেন, জানতে চান। কিছুক্ষণ পরই সেখানে সভাপতি সজীব হাজির হন। এরপর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

কিছু সময় পর আসেন আরেক সহকারী প্রভোস্ট রাকিবুর রহমান। সহকারী প্রভোস্ট শেখ মো. মাসুম বলেন, ক্যানটিন ম্যানেজার জানিয়েছেন, তিনি ক্যানটিন চালাবেন না। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সেখানে যাই। হলে ঢুকতেই ছাত্রদের জটলা দেখে সঙ্গে কথা বলি। এরপর যা হয়েছে, তা সবাই জানে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন: ছাত্রলীগ-ছাত্রদল সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাবির মামলা, আসামি ৪০০

এ বিষয়ে কবি কাজী নজরুল ইসলাম শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সজীব হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, এসব ভিত্তিহীন।

শেকৃবির প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক ও হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। ছাত্রলীগের যে পদধারীই হোক, এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রক্টর ড. মো. হারুনুর রশিদ সুমন গণমাধ্যমকে বলেন, তার ফোন নম্বরই আমার কাছে নেই। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনে তাকে কেন ফোন দিতে যাব।মৌখিকভাবে বিষয়টি অবগত হয়েছি। হলের প্রভোস্টদের লিখিতভাবে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে। এরপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ