রাবির হলে ছাত্রলীগের সিট-বাণিজ্যের প্রতিকার চায় প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন
- রাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৫:০০ PM , আপডেট: ১৩ এপ্রিল ২০২২, ০৫:০০ PM
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আবাসিক হলগুলোতে ছাত্রলীগের সিট বাণিজ্যের প্রতিকার চেয়ে চার দফা দাবি জানিয়েছে ক্যাম্পাসের প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলো। আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।
চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- আবাসিক হলে সিট বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে, সিট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করতে হবে, অনলাইনে প্রতিটি হলের সিটের তালিকা প্রকাশ করতে হবে, হলের ডাইনিংয়ে খাবারের দাম কমিয়ে ভর্তুকি দিয়ে খাবারের মান বাড়ানোর পাশাপাশি ক্যাম্পাসে খাবারের দাম ও মান মনিটরিং করতে হবে এবং গণতান্ত্রিক ক্যাম্পাস নিশ্চিত করতে অবিলম্বে রাকসু নির্বাচন দিতে হবে।
হলে সিট বাণিজ্যের কথা উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার শের-ই-বাংলা হল থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগের হল শাখার সভাপতি জোরপূর্বক বের করে দেন। এ ছাড়াও এর আগে মতিহার হলের একজন বাক্প্রতিবন্ধী আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে একই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, পত্র-পত্রিকার মাথধ্যমে বিভিন্ন হলে সিট বাণিজ্য, হল দখলদারিত্ব ও শিক্ষার্থী নিপীড়নের খবর পাওয়া যায়। যার সঙ্গে সম্পষ্টভাবে ছাত্রলীগ জড়িত। ভুক্তভোগী ও বিভিন্ন সংগঠন উক্ত বিষয়গুলো নিয়ে প্রশাসনকে অভিহিত করলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। বরং নিজেদের অসহায়ত্ব প্রকাশ করে পরোক্ষভাবে ছাত্রলীগকে মদদ দিয়ে যাচ্ছে। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতান্ত্রিক ও উন্মুক্ত জ্ঞানচর্চার পরিবেশকে বাঁধা দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে সিট পেতে হল প্রশাসনের অনুমতির পাশাপাশি ছাত্রলীগের সম্মতিও লাগে। ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সম্মতি ছাড়া শিক্ষার্থীরা হলের সিট পান না বলে অনেকে অভিযোগ করেছেন।
অনেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, আবাসিক হলে সিট বরাদ্দ পেয়ে প্রতি মাসে টাকা গুনছেন ঠিকই। কিন্তু সিট পাচ্ছেন না। উল্টো মেসভাড়া দিচ্ছেন। হল প্রাধ্যক্ষকে বললে তাঁরা ‘বড় ভাইদের’ (ছাত্রলীগ নেতা) ধরে হলে উঠার পরামর্শ দেন।
এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে-ই-বাংলা হলের এক শিক্ষার্থীকে সিট থেকে বের করে দেন ছাত্রলীগের হল সভাপতি। অবশ্য দিনভর হলের বাইরে কাটানোর পর সন্ধ্যায় ওই ছাত্র হলে উঠতে পেরেছেন।