ছাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা: বাকৃবি ছাত্রলীগ

  © সংগৃহীত

স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা এবং ছাত্রীদের দলে ভেড়ানো নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতাদের দুটি গ্রুপের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও রাস্তা অবরোধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এরই প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত নেতা খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে কয়েকজন ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়া ও লাঞ্ছনার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ এবং টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে অভিযুক্ত নেতার বহিষ্কার ও বিচার দাবি করেন।

তবে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে অভিযোগ করেছেন রিয়াদ। আজ রবিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ করেন। একইসঙ্গে মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্রকারীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা তায়েফুর রহমান রিয়াদ, রাশেদ খান মিলন, মো. দেলোয়ার হোসেন, হুমায়ন আহমেদ শোভন, লিমন খান, ইমরান সিদ্দিকী, তারিক জামান জয়, ইশরাত জাহান রিজা, জান্নাতুল নাঈম ঐশী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে খন্দকার তায়েফ রিয়াদ বলেন, বেগম রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা শিকদার, তানজিলা মোবাশ্বেরা স্বর্ণালীসহ কয়েকজন আমাদের সমর্থন করা ছাত্রীদের বাধা প্রদান করে ও বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাতে তারা আমাদের সাথে প্রোগাম করতে না পারে। উস্কানি না পেলে আমাদের ছোট বোনেরা কোনো দিন রাস্তায় নেমে এমন কাজ করত না। জোরপূর্বক ছাত্রীদের রাস্তায় নিয়ে এমন কাজ করেছে তার অভিযোগ ওই সব মেয়েরা আমাদের জানিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যারা আমাদের প্রোগামে আসতে চায় তাদের বাধা দেওয়ার কোনো অধিকার তাদের নেই। এই কথা ছাড়া যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে তা পুরোটাই মিথ্যা। আন্দোলনে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী নেতা ইমতিয়াজ আবির, আবু রায়হান মিথুন, সজীব চন্দ্র সরকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ইন্ধন দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

ছাত্রলীগ নেত্রী ইশরাত জাহান রিজা বলেন, রিয়াদ ভাইয়ের নামে এককভাবে নারীদের শ্লীলতাহানি ও অবমাননার যে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ঘটনাস্থলে অনেক নারী কর্মী উপস্থিত ছিলেন। এমনকি এখানে পদপ্রত্যাশী অনেক ছাত্র ছিলেন, তারা প্রত্যক্ষ সাক্ষী যে ওখানে এমন ধরনের কিছু হয়নি।

আরও পড়ুন: র‌্যালিতে ছাত্রীদের গায়ে হাত ছাত্রলীগের, আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ

বেগম রোকেয়া হলের সাধারণ সম্পাদক তানজিনা শিকদার বলেন, আমি কাউকে জোর করে নিয়ে যাইনি, এমনকি কারো বিরুদ্ধে সাজানো স্লোগান দিতে বলেনি। তবে ঘটনাস্থলে যারা ছিল তারা সবাই নিজে থেকেই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জানতে চাইলে ইমতিয়াজ আবির, আবু রায়হান মিথুন ও সজীব চন্দ্র সরকার বলেন, প্রত্যক্ষ ইন্ধনের অভিযোগটি সঠিক নয়। তায়েফুর রহমান রিয়াদের বিরুদ্ধে আমরা কোনো অভিযোগ করিনি। আমরা রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে ছাত্রীদের পাশে ছিলাম ও পরোক্ষভাবে তাদের সমর্থন দিয়েছি।


সর্বশেষ সংবাদ