গণজাগরণ মঞ্চের ১০ বছর পূর্তি আজ

২০১৩ সালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্বর।
২০১৩ সালে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্বর।  © সংগৃহীত

ঐতিহাসিক শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়া প্ল্যাটফর্ম গণজাগরণ মঞ্চ। ২০১৩ সালের আজকের এই দিনে রাজধানী ঢাকার শাহবাগ চত্বরে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে কিছু তরুণ সরব হয়ে উঠে। এর পর প্রতিবাদে যোগ দেয় সারা দেশ থেকে আসা নানা বয়সী লোকজন। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজনের সম্মিলনে এটি একটি বিশাল আন্দোলনে রূপ নেয়। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) গণজাগরণ মঞ্চের দশ বছর পূরণ হয়।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে

১৯৭১ সালে স্বাধীনতার জন্য বাংলাদেশের আপামর মানুষ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল। পাকিস্তানি মিলিটারি ২৫শে মার্চ রাতে নিরস্ত্র মানুষের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে রক্তের হুলিখেলায় মেতে উঠে। ইতিহাসে দিনটি ‘কালো রাত’ নামে সমধিক পরিচিত। এরপর দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। তবে বাংলাদেশেরই কিছু মানুষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে বিভিন্ন যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধে সক্রিয়ভাবে সহায়তা প্রদান করেছিল, যার মধ্যে ছিল গণহত্যা, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন ইত্যাদি। যুদ্ধকালীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে একটি আইন তৈরি করা হয় যা ২০০৯ সালে কিছুটা সংশোধন করা হয়। এ আইনের আওতায় ২০১০ সালের ২৫শে মার্চ এ সকল অপরাধের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়।

আরও পড়ুন: জাবির উপাচার্য নিয়োগে প্যানেল নির্বাচন দাবি

একাত্তর সালে যুদ্ধাপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দণ্ডিত জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার সাজা যাবজ্জীবন দেয়া হয়। এরপর তার সাজা মৃত্যুদণ্ড করার দাবিতে শাহবাগ আন্দোলনের সূচনা হয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ইতিহাসে গত কয়েক দশকে সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনাগুলোর মধ্যে গণজাগরণ মঞ্চের শাহবাগ আন্দোলন হচ্ছে অন্যতম। তরুণ প্রজন্মের অংশগ্রহণে শাহবাগ আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয় গণজাগরণ মঞ্চ। যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করার দাবিতে তারা আন্দোলনে নামেন। তাদের আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ সাজা বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ