গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ফর্মের মূল্য কমানোর দাবি ছাত্র ইউনিয়নের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৩ PM , আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৩ PM
দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে ফর্মের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।
সোমবার (৩০ আগস্ট) সংগঠনটির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতি এই দাবি জানানো হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মো. ফয়েজউল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবার গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করতে যাচ্ছে। এ প্রক্রিয়াকে আমরা সাধুবাদ জানাই। এতে পরিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘব হবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এ পরীক্ষার ফর্মের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ টাকা। এছাড়া কোন শিক্ষার্থী একাধিক বিভাগের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে অতিরিক্ত অর্থ গুণতে হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘করোনাকালে মানুষের আয় নিম্নমুখী। অভাব অনটনে অনেক শিক্ষার্থীর জীবন শেষ হতে বসেছে। অথচ এমন পরিস্থিতিতে ফর্মের এমন মূল্য নির্ধারণ কাম্য নয়। দীর্ঘদিন ধরেই এদেশের সরকার শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে রূপান্তরের চেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে মানুষের মৌলিক অধিকার শিক্ষাকে তারা বেসরকারিকরণ এবং সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে। যার উদাহরণ আমরা দেখতে পাই শিক্ষায় ভ্যাট বা কর আরোপের সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে।’
অবিলম্বে ফর্মের মূল্য কমিয়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ‘অবৈধ সরকার প্রকারান্তরে মজিদ খানের শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফর্মের এ অতিরিক্ত মূল্য কোন শিক্ষার্থী প্রদান করবে না।’
সরকারের শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ নীতি ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিবে দাবি করে তারা বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার দাবি ছাত্র ইউনিয়ন দীর্ঘ দিন ধরে করে আসছিলো। তাই আগামীদিনেও সকল ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেওয়ার দাবি ছাত্র ইউনিয়নের। ছাত্র ইউনিয়ন তার ইতিহাস অর্পিত দায়িত্ব থেকে ছাত্র জনতাকে ঐক্যবদ্ধ করে শিক্ষার বাণিজ্যিকিকরণের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, এ বছরই প্রথম দেশের ২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ ভর্তিতে প্রতিটি ফর্মের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২০০ টাকা।